কামারখন্দে ফুলজোড় নদীতে বালু উত্তোলনে ঠিকাদারসহ ৬ জনের নামে মামলা, ড্রেজার মালিক গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিবেদক, সিরাজগঞ্জ : সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে ফুলজোড় নদী থেকে বাংলা ড্রেজারের দিয়ে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে ঠিকাদার, ড্রেজারের মালিক ও বালু বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় ড্রেজার মালিক পরিমলকে (৫৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরিমল কামারখন্দ উপজেলার কুটির চর পশ্চিম পাড়ার মোকবুল হোসেনের ছেলে। এ ঘটনায় সোমবার রাতে কামারখন্দ থানায় মামলা দায়ের করেন ভদ্রঘাট ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা তারেক মুর্শেদ।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, ভদ্রঘাট ইউনিয়নের ঝাটিবেলাই মৌজার আরএস এক নম্বর খাস খতিয়ানের আরএস ২০৪ নম্বর দাগের নদীর জমি থেকে ড্রেজারের মাধ্যমে নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন হচ্ছে। তা পাইপের মাধ্যমে মুগবেলাই গ্রামের আসলাম সরকারের জমিতে ভরাট করা হচ্ছে। তা করছেন শাহজাদপুর উপজেলার পুঠিয়া ইসলামপুর গ্রামের বাসিন্দা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আয়ান কনস্ট্রাকশনের ম্যানেজার ইউসুফ আলী (৩০), কামারখন্দ উপজেলার কুটির চর পশ্চিম পাড়ার বাসিন্দা ড্রেজারের মালিক পরিমল (৫৫), রায়গঞ্জ উপজেলার নলকা গ্রামের বাসিন্দা ড্রেজার মালিক বাবু (৫২), কামারখন্দ উপজেলার মুগবেলাই গ্রামের বাসিন্দা বালু বিক্রেতা ঝন্টু সরকার (৫০), আসাদুল সরকার (৩৩) এবং রকিব খান (৩২)। এ বালু তুলে সরকারের ৭-৮ লক্ষ টাকার রাজস্ব ক্ষতিসাধন হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
কামারখন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহা. রেজাউল ইসলাম জানান, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রির ঘটনায় ভদ্রঘাট ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা তারেক মুর্শেদ বাদী হয়ে মামলা করায় দুই নম্বর আসামী ড্রেজার মালিক পরিমলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।