ইসলামে আজওয়া খেজুর

প্রকাশিত: মার্চ ১৫, ২০২৪; সময়: ২:৩৩ অপরাহ্ণ |
ইসলামে আজওয়া খেজুর

পদ্মাটাইমস ডেস্ক: মুসলিমদের মতে পবিত্র নগরী মদিনায় উৎপন্ন হওয়া বিশেষ প্রজাতির খেজুর ‘আজওয়া’। রাসুলুল্লাহ নিজ হাতে এ খেজুর গাছ রোপন করেছিলেন বলে হাদিস শরীফে বর্ণিত আছে। এ খেজুর গাছ রোপন ও জন্মের পেছনেও রয়েছে বিশেষ কারণ।

আজওয়া খেজুর বিশ্বনবীর অন্যতম একটি মোজেজা বা অলৌকিকত্ব। যার ফলে এ খেজুরের রয়েছে বিশেষ বরকত ও ফজিলত। সালমান ফারসী রা.-এর দাসত্ব থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য নবীজীর খেজুর গাছ লাগানোর ঘটনা

হযরত সালমান ফার্সীর মালিক ছিল একজন ইয়াহুদী। হযরত সালমান ফার্সী যখন মুক্তি চাইল তখন ইহুদী তাকে এই শর্ত দিলো যে, যদি তিনি নির্দিষ্ট কয়েক দিনের মধ্যে নগদ ৬০০ দিনার দেন এবং ত্রিশটি খেজুর গাছ (কারো মতে- চল্লিশ উকিয়া এবং তিনশটি খেজুর গাছ) রোপন করে গাছে খেজুর ধরলে তবেই সে মুক্ত। আসলে ইহুদির মুক্তি দেবার ইচ্ছা ছিলো না।

কেননা সালমান ফার্সীর (রা:) পক্ষে খেজুর গাছ রোপন করে তাতে ফল ধরে ফল পাকানো অনেক সময়ের ব্যাপার। সালমান ফার্সী মুহাম্মদ (সা:) এর দরবারে এসে ঘটনা বর্ণনা করলেন। তিনি ৬০০ দিনারের ব্যবস্থা করে আলী (রাঃ) কে সাথে নিয়ে গেলেন ইয়াহুদীর কাছে।

ইহুদী এক কাঁদি খেজুর দিয়ে বলল এই খেজুর থেকে চারা উৎপন্ন করে তবে ফল ফলাতে হবে। মুহাম্মদ (সা:) দেখলেন যে, ইহুদীর দেয়া খেজুরগুলো সে আগুনে পুড়িয়ে কয়লা করে ফেলছে যাতে চারা না উঠে। তবুও তিনি খেজুরের কাঁদি হাতে নিয়ে আলী (রাঃ) কে গর্ত করতে বললেন আর সালমান ফার্সী (রা:) কে বললেন পানি আনতে।

আলী (রাঃ) গর্ত করলে তিনি নিজ হাতে প্রতিটি গর্তে সেই পোড়া খেজুর রোপন করলেন। মুহাম্মদ (সা:) সালমান ফার্সী (রা:) কে এ দির্দেশ দিলেন যে, বাগানের শেষ প্রান্তে না যাওয়া পর্যন্ত তুমি পেছন ফিরে তাকাবে না। সালমান ফার্সী (রা:)পেছনে না তাকিয়ে পানি দিতে লাগলেন।

বাগানের শেষ প্রান্তে যাওয়ার পর তিনি তাকিয়ে দেখলেন যে প্রতিটি গাছ খেজুরে পরিপূর্ণ। আর খেজুরগুলো পেকে কালো বর্ণ হয়ে গেছে।

পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে