সুইডেনের রাজকন্যাকে বরণে হাতিয়ায় চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি
পদ্মাটাইমস ডেস্ক : জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) শুভেচ্ছাদূত সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস (রাজকন্যা) ভিক্টোরিয়া খুলনার কয়রায় এসে পৌঁছেছেন। আগামী বুধবার (২০ মার্চ) নোয়াখালীর হাতিয়ায় সফর করবেন তিনি।
রাজকন্যার আগমনকে ঘিরে প্রশাসনের ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে। জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। চলছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ। তার পরিদর্শনের জায়গাগুলো পরিপাটিভাবে সাজানো-গোছানোর কাজও চলছে।
নোয়াখালী জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ১৮ থেকে ২১ মার্চ জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) শুভেচ্ছাদূত হিসেবে বাংলাদেশ সফর করবেন সুইডিশ রাজকন্যা ভিক্টোরিয়া।
তার এ সফরের অংশ হিসেবে ২০ মার্চ চট্রগ্রাম থেকে হেলিকপ্টারযোগে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলা সফরের কথা রয়েছে। এসময় তিনি বুড়িরচর ইউনিয়নের নতুন সুইচ বাজার পরিদর্শন করবেন এবং গুচ্ছ গ্রামের জেলে পরিবারের সঙ্গে কথা বলবেন।
এছাড়া নলচিরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন সেন্টার পরিদর্শন করবেন তিনি। তারপর হেলিকপ্টারের মাধ্যমে ভাসানচর যাবেন এবং ভাসানচর ক্যাম্পের রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আলাপ করবেন।
হাতিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুব মোর্শেদ লিটন বলেন, সুইডেনের প্রিন্সেস ক্রাউন ভিক্টোরিয়া আমাদের হাতিয়া আসবে এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়। স্থানসমূহ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার পাশাপাশি সাজানো হচ্ছে।
শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের অতিরিক্ত কমিশনার (ভাসানচর) মাহফুজার রহমান বলেন, সুইডেনের প্রিন্সেস ক্রাউন ভিক্টোরিয়া ভাসানচরে বিভিন্ন কার্যক্রম ঘুরে ঘুরে দেখবেন।
রোহিঙ্গাদের সুযোগ-সুবিধার বিষয়ে তাদের সঙ্গে আলাপ করবেন। আমাদের সব প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। আশা করি তিনি সন্তুষ্ট প্রকাশ করবেন। কেননা ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।
জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, রাষ্ট্রীয় অতিথি হাতিয়ায় আগমনে ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
পুলিশের পাশাপাশি, র্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, কোস্টগার্ড, গোয়েন্দা নজরদারিসহ সব নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) শুভেচ্ছা দূত হিসেবে আগামী ১৮-২১ মার্চ সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া বাংলাদেশে অবস্থান করবেন।
এর মধ্যে ২০ মার্চ তিনি হাতিয়া আসবেন। তিনি হাতিয়ার বুড়িরচর ও ভাসানচর পরিদর্শন করবেন। জেলে পরিবার ও রোহিঙ্গা পরিবারের সঙ্গে কথা বলবেন। তাদের জীবনযাত্রার বিষয়ে জানতে চাইবেন। তার আগমনকে ঘিরে বিভিন্ন প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।