স্ট্রাইকরেট বিতর্ক উতরে গিয়ে পাকিস্তানের বিধ্বংসী জয়
পদ্মাটাইমস ডেস্ক : ভারত-বাংলাদেশ-পাকিস্তান, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে সবখানেই চলছে স্ট্রাইকরেট বিতর্ক। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ শেষ বাংলাদেশ অধিনায়ককে শুনতে হলো স্ট্রাইকরেট নিয়ে একরাশ প্রশ্ন।
বিরাট কোহলি রানের ফোয়ারা ছুটিয়েও মুক্তি পাচ্ছেন না স্ট্রাইকরেট বিতর্ক থেকে। আর আয়ারল্যান্ডে পাকিস্তানের হারের পর কাঠগড়ায় উঠেছে বাবর আজমের কম স্ট্রাইকরেটের ইনিংস।
এত সমালোচনার পরেই কিনা নিজেদের ব্যাটিং সামর্থ্যের সবটা প্রকাশ করলেন রিজওয়ান-ফখররা। আইরিশদের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তান ১৯৩ রান পার করল ১৯ বল বাকি থাকতেই।
মোহাম্মদ রিজওয়ান ব্যাট করেছেন ১৬৩ স্ট্রাইকরেটে। ফখর জামানের স্ট্রাইকরেট ছিল ১৯৫। আর তাদের দুজনকে ছাপিয়ে গিয়েছেন আজম খান। ৩০ রানের ক্যামিও ইনিংসে খেলেছেন ১০ বল। অর্থাৎ স্ট্রাইকরেট ৩০০!
ফখর আর রিজওয়ানের অমন ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ডাবলিনে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের ১৯৩ রান ১৯ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখে পেরিয়েছে পাকিস্তান।
ফখর ৪০ বলে ৭৮ রান করে আউট হলেও রিজওয়ান ৪৬ বলে ৭৫ রান করে অপরাজিত ছিলেন। ৬টি ছক্কা মেরেছেন ফখর, রিজওয়ান মেরেছেন ৪টি ছক্কা।
আর আজম খান ১০ বলে ৪ ছক্কায় অপরাজিত ছিলেন ৩০ রান করে। তবে যাকে নিয়ে এত বিতর্ক আর আলোচনা সেই বাবর আজম ৪ বলে করেছেন শূন্য।
রান তাড়ায় প্রথম ওভারেই ঝড়ের আভাস দেয় পাকিস্তান। দ্বিতীয় বলে ছক্কা মেরে রানের খাতা খোলেন সাইম আইয়ু্ব। কিন্তু মার্ক অ্যাডাইরের করা পরের বলটিকে শর্ট মিডউইকেটের ফিল্ডার কার্টিস ক্যাম্ফারের হাতে তুলে দেন। এরপর উইকেট আসা অধিনায়ক বাবর আজম ফেরেন শূন্য রানে।
এরপরেই ডাবলিনে চলে রিজওয়ান এবং ফখরের ঝড়। তৃতীয় উইকেটে ১৪০ রান যোগ করেন দুজন। শুরু থেকে ঝড়োগতির ব্যাট করেছেন দুজন। তৃতীয় ওভার শেষে রান ছিল ২৩। সেটাই ৭ ওভার পর হয় ৭১। মাঝে তিন ওভারে ১০-এর কম রান এলেও পরে ঠিকই তা পুষিয়ে দেন দুজনে।
১১ এবং ১২ তম ওভারে আসে ২৭ রান। আর ১৩তম ওভার থেকে আসে ২১ রান। ৪০ বলে ৭৮ রান করা ফখর ফেরেন এরপরেই। ১৫৩ রানে সাজঘরে ফেরেন এই ব্যাটার। ফখর ফেরার পর ৩৩ বলে ৪১ রান দরকার ছিল পাকিস্তানের। কিন্তু ১৭তম ওভারে আজমের তিন ছক্কাই জিতিয়ে দেয় পাকিস্তানকে।
এর আগে ৩৪ বলে ৫১ রান করেন লোরকান টাকার বড় রানের ভিত গড়ে দেন আইরিশদের। এ ছাড়া হ্যারি টেক্টর ২৮ বলে ৩২ ও শেষ দিকে গ্যারেথ ডেলানি ১০ বলে ২৮ ও কার্টিস ক্যাম্ফার ১৩ বলে ২২ রান করেন। তাতেই আয়ারল্যান্ডের রান চলে যায় ১৯৩ পর্যন্ত।