গ্রিন সিটিতে শহীদদের স্মরণে বৃক্ষ রোপণ

প্রকাশিত: মে ১৪, ২০২৪; সময়: ১:৪৭ অপরাহ্ণ |
গ্রিন সিটিতে শহীদদের স্মরণে বৃক্ষ রোপণ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঈশ্বরদী : পাবনার ঈশ্বরদীর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের আবাসিক এলাকা ‘গ্রিন সিটি’তে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়েছে আন্তর্জাতিক পরিবেশ ও দেশপ্রেম অনুষ্ঠান ‘স্মৃতি উদ্যান’। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত পারমাণবিক শক্তি সংস্থা (রসাটম) প্রকৌশল বিভাগে নিয়োজিত ব্যক্তি ও স্বেচ্ছাসেবকরা গ্রিন সিটি এলাকায় ২৮টি ফার গাছের (ক্রিসমাস ট্রি) চারা রোপণ করে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যে-সকল রুশ এবং মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যার শিকার বাঙালি আত্মত্যাগ করেন, তাঁদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে এই গাছের চারা রোপণ করা হয়।

এ প্রসঙ্গে এতমস্ত্রয়এক্সপোর্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং রূপপুর এনপিপি নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক আলেক্সি দেইরী বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীরদের আমরা এ আয়োজনের মাধ্যমে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি।

আজকে এই বৃক্ষগুলো শুধু আমাদের পূর্বপুরুষদের বীরোচিত কাজকেই স্মরণ করিয়ে দেবে না, সেই সঙ্গে পরিবেশের উন্নয়নেও ভূমিকা রাখবে। পরিবেশ সুরক্ষার ব্যাপারে রসাটম সর্বদাই যত্নশীল। তাই আমরা বিভিন্ন পরিবেশ উদ্যোগের সঙ্গে নিয়মিতভাবে সহযোগিতা করে আসছি।

রাশিয়া বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধুরাষ্ট্র। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে রাশিয়া বাংলাদেশের পক্ষে জোরালো ভূমিকা রেখেছিল। এজন্য বাংলাদেশ রাশিয়ার প্রতি আজীবন কৃতজ্ঞ।

বাংলাদেশ সৃষ্টির সময় থেকে রাশিয়া এদেশের অকৃত্রিম বন্ধু। ১৯৭১ সালে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের সহায়তা না পেলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন কঠিন হতো।

আয়োজকদের সূত্রে জানা যায়, শহিদদের প্রত্যেকের উদ্দেশ্যে একটি করে মোট দুই কোটি ৭০ লাখ গাছের চারা লাগানোর সিদ্ধান্ত হয়। প্রত্যেক শহিদের সবুজ স্মৃতিফলক হিসেবে প্রতিটি গাছকে বিবেচনা করা হচ্ছে।

এই উদ্যোগের আরেকটি অন্যতম লক্ষ্য হলো, বন সম্পদের রক্ষা এবং পুনরুদ্ধার, যা বিশ্বে কার্বন নিঃসরণ হ্রাসে সহায়তা করবে।

রাশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রতি বছর এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সারাবিশ্বের ৫০টির অধিক দেশের স্বেচ্ছাসেবকরা এই কাজের সাথে জড়িত।

পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে