পরিবেশের ভারসাম্য বিনষ্টতার এক জলন্ত উদাহরণ ইবি ক্যাম্পাস
নিজস্ব প্রতিবেদক, ইবি : মানুষের নানা কর্মকান্ডের ফলে আজ প্রাকৃতিক ভারসাম্য বিপন্ন। মানুষ তার প্রয়োজনে প্রতিনিয়ত নির্বিচারে পরিবেশের ক্ষতি করে যাচ্ছে। নদী শাসন, বন উজার যেন নিত্যদিনের ঘটনা। নেই পরিবেশের পরিচর্যা, নেই যত্ন। মানুষ তার প্রয়োজনে এই পৃথিবীটাকে করে তুলছে বসবাসের অযোগ্য।
তারই এক জ্বলন্ত উদাহরণ যেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ক্যাম্পাস। সবুজে ঘেরা এই ১৭৫ একরের সবুজ যেন আজ ম্রিয়মান। ক্যাম্পাসে পূর্বের তূলনায় গাছের সংখ্যাও হ্রাস পেয়েছে। উপরন্তু ক্যাম্পাসের যত্রতত্র দেখা যায় ময়লার স্তুপ।
ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায়, ক্যাম্পাসে বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকটি ডাস্টবিন থাকলেও ডাস্টবিন নয় বরং ডাস্টবিনের আশেপাশেই ময়লার স্তুপ জমে আছে। ডায়না চত্ত্বর, ঝাল চত্বরে হাঁটার সময় মাটিকে যেন মনে হয় কাগজের ঠোঙায় মোড়ানো কার্পেট।
এছাড়াও একাডেমিক ভবন গুলোর পাশে, জিয়ামোড়, টিএসসিসির কোনায়, লাইব্রেরীর পিছনে, সাদ্দাম হলের পাশে যেন ময়লার ঢিবি। ক্যাম্পাসের যত্রতত্র দেখা যাচ্ছে অতি ক্ষতিকর আগাছা পার্থেনিয়াম। সেগুলো নির্মূলেরও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী জেবা তাহসীন বলেন, আজ বিশ্ব পরিবেশ দিবস। অন্যান্য দিনের কথা বাদই দিলাম, এই দিনেও শিক্ষার্থী কিংবা প্রশাসনেরও নেই সচেতনতামূলক কোনো পদক্ষেপ কিংবা কর্মসূচি।
ময়লার স্তুপ যেন মনে করিয়ে দিচ্ছে আমরা কিভাবে আমাদের পৃথিবীকে বাসের অযোগ্য করে তুলছি। অথচ শিক্ষার্থীদের এ বিষয়ে সচেতনতাই পারে আমাদের ক্যাম্পাসকে সুন্দর এবং সজীব রাখতে।
দর্শনার্থী মুইন রোমান তুলন বলেন, ক্যাম্পাস সুন্দর হলেও ক্যাম্পাসে আবর্জনা নিষ্কাশনের পরিকল্পিত ব্যবস্থা না থাকায় সৌন্দর্য অবলোকন বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। ক্যাম্পাস পরিচ্ছন্ন থাকলে পড়াশোনায়ও মনোযোগ বসে। তাই প্রশাসনের এই বিষয়টির দিকে দৃষ্টি দেয়া উচিৎ।
এ বিষয়ে এস্টেট অফিস প্রধান সামছুল ইসলাম জোহা বলেন, আমরা চেষ্টা করছি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার। পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা কাজও করে তবে ভ্রাম্যমান খাবারের দোকানগুলোর জন্য ক্যাম্পাস সবসময় পরিষ্কার রাখা সম্ভব হয়না। আমরা এ বিষয়েও সিদ্ধান্ত নিবো।