যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহোমায় সব শিক্ষার্থীকে বাইবেল পড়ানোর নির্দেশ
পদ্মাটাইমস ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহোমার সব শিক্ষককে স্কুলের শ্রেণিকক্ষে বাইবেল রাখা এবং সেটি পড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে অঙ্গরাজ্যটির শিক্ষা বিভাগ। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৮ জুন) এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়।
ওকলাহোমার পাবলিক ইনস্টিটিউটের সুপারিনটেন্ড, রায়ান ওয়াল্টার্স, বৃহস্পতিবার শিক্ষা বিভাগের বোর্ড মিটিংয়ে এই নির্দেশ ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, “প্রত্যেক শিক্ষক, প্রত্যেকটি শ্রেণিকক্ষে বাইবেল থাকবে এবং বাইবেল থেকে শ্রেণিকক্ষে পড়ানো হবে। যেন ওকলাহোমা অঙ্গরাজ্যের প্রত্যেক শিক্ষার্থী বাইবেলের ঐতিহাসিক বিষয়টিকে জানে।”
তিনি খ্রিষ্টান ও ইহুদিদের ধর্মগ্রন্থ বাইবেলকে ‘পশ্চিমা সভ্যতার স্তম্ভ’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। এই কর্মকর্তা আরও বলেছেন মার্টিন লুথার কিংসহ ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বরা বাইবেল থেকে বিভিন্ন সময় উদ্ধৃতি দিয়েছেন।
হিব্রু এবং খ্রিষ্টান বাইবেলে হযরত মূসা (আঃ)- এর সিনাই পাহাড়ে পাওয়া ১০টি আদেশের ব্যাপারে বলা আছে। তবে শুধু খ্রিষ্টান বাইবেলে নিউ টেস্টামেন্টটি সংযুক্ত আছে।
সব শিক্ষার্থীকে বাইবেল পড়ানোর নির্দেশ দেওয়া ওয়াল্টার্স একজন খ্রিস্টান। তবে তিনি জানাননি, শিক্ষার্থীদের কোন বাইবেলটি পড়ানো হবে। তার এক মুখপাত্র এ ব্যাপারে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
ওকলাহোমার শিক্ষকদের প্রধান ইউনিয়ন বলেছে, ওয়াল্টার্স বাইবেল পড়ানোর যে নির্দেশ দিয়েছেন এটি যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের পরিপন্থি। এছাড়া অঙ্গরাজ্যের আইনে বলা আছে স্কুল ডিস্ট্রিকের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে শ্রেণিকক্ষে কোন বই (ধর্মীয় গ্রন্থ) রাখা হবে।
ওকলাহোমার শিক্ষা অ্যাসোসিয়েশন এক বিবৃতিতে বলেছে, “ধর্মের ইতিহাস এবং বাইবেল পড়ানোর ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু ধর্মীয় মতবাদ শিক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রে কারও কোনো অধিকার নেই।”