রাজশাহীতে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে রিকশাচালক আটক
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী মহানগরীর এক কলেজ ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে রাজশাহী জেলার চারঘাট থানার লক্ষীপুর উত্তরপাড়া এলাকা থেকে এক রিকশাচালককে গ্রেপ্তার করেছে আরএমপি’র কাটাখালী থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত আসামি বজলুর রশিদ (৪০) রাজশাহী জেলার চারঘাট থানার লক্ষীপুর উত্তরপাড়া এলাকার মৃত দেছার প্রামানিকের ছেলে।
ঘটনা সূত্রে জানা, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রী গত ১১ জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ বিকালে রাজশাহী মহানগরের কাদিরগঞ্জের একটি কোচিং সেন্টারে প্রাইভেট পড়তে যায়। রাত সাড়ে ৭ টায় ক্লাস শেষে রিকশায় সে বাসায় ফিরছিল।
রাত সোয়া ৮ টার দিকে রিকশাচালক কাটাখালী থানার বাইপাস মোসলেমের মোড়ের জোড়পুকুর নামক স্থানে পৌঁছালে রিকশাচালক রিকশাটি নষ্ট হয়েছে বলে রিকশাটি থামায়। তখন প্রচন্ড বজ্রপাতসহ মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছিলো ও আশপাশ কেউ ছিল না। রিকশাচালক অতর্কিতভাবে ঐ ছাত্রীকে জোর করে পাশের জঙ্গলে নিয়ে গলা টিপে ধরে মারপিট করে এবং শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে যৌন নিপীড়ন করে।
এসময় ঐ ছাত্রী রিকশাচালকের সাথে ধস্তাধস্তি করে তাকে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়। রাস্তায় সাহায্যের জন্য সে চিৎকার করে। কিছু দূরে এসে একটি অটোরিকশা দেখতে পেয়ে সেটি থামায় এবং চালক ও যাত্রীদের ঘটনা খুলে বলে। সে তাদের সহযোগিতায় বাড়ি ফিরে। ঐ ছাত্রীর বাবা অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করলে কাটাখালী থানায় একটি মামলা রুজু হয়।
মামলা রুজুর পর আরএমপি’র মতিহার বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মধুসুদন রায়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে কাটাখালী থানার অফিসার ইনচার্জ তৌহিদুর রহমানের নেতৃত্বে কাটাখালী থানা পুলিশের একটি টিম আসামি বজলুর রশিদকে দ্রুত গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করে।
পরবর্তীতে কাটাখালী থানার এসআই টিএম সেলিম রেজা ও তার টিম গত ১৩ জুলাই ২০২৪ দিবাগত রাত পৌনে ৩ টায় আরএমপি’র সাইবার ক্রাইম ইউনিটের দেওয়া তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে রাজশাহী জেলার চারঘাট থানার লক্ষীপুর উত্তরপাড়ার বাড়ী থেকে আসামি রিকশাচালক বজলুর রশিদকে গ্রেপ্তার করে।
জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামি ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকার করে। জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায় রিকশাচালক বজলুর রশিদ এর আগেও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।