রাজশাহীতে কোটা বিরোধী-আ.লীগ সংঘর্ষ, বোমা বিস্ফোরণ
নিজস্ব প্রতিবেদক : কোটা সংস্কারের নামে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় ৮/১০টি হাত বোমার বিস্ফোরণ ঘটনো হয়। সংঘর্ষ ও বোমার আঘাতে মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ডাঃ সিরাজুম মনির সবুজসহ অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে তিনজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে একজন ডাল ব্যবসায়ী বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদশীরা জানায়, বেলা সাড়ে ১০টার দিকে কোটা সংস্কারের নামে আন্দোলনকারীরা লাঠি হাতে সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে জড়ো হয়। এ সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাদের ধাওয়া দেয়। আন্দোলনকারিরা পালানোর সময় হাত বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় দুই তিনজনকে ধরে মারধর করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। পরে সেখানে উপস্থিত হয়েছে পরিস্থিতি শান্ত করে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। তিনি বাইকে আন্দোলনকারিদের বাড়ি ফিরে যাওয়ার আহবান জানান। এছাড়াও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজশাহীর সমন্বয়ক রাকিব হাসান অর্নবও মাইকিং করে শিক্ষার্থীদের চলে যেতে বলেন।
পরে খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, আন্দোলন এখন ছাত্রদের হাতে নেই। কোটার বিরোধী আন্দোলন ছাত্রদের কাছ থেকে বিএনপি-জামায়াত চক্র ছিনিয়ে নিয়েছে। তারা এখন অরাজগতা পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করছে। কিন্তু সেটি মেনে নেওয়া হবে না। অরাজগতা করলে দাঁতভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বেশ কয়েকটি পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে। কোনভাবেই কাউকে বিশৃংখলা সৃষ্টি করতে দেওয়া হবে না।
রাফিন হাসান অর্নব বলেন, গত তিনদিন ধরে আন্দোরণ আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। যারা আমাদের শান্তিপূর্ন আন্দোলন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বিশৃংখলা সৃষ্টি করেছে তারা কারা আপনারা সবাই জানেন। তাই আমরা আজকের কর্মসূচী থেকে পিছু হটছি। আমরা চাই না আমাদের ব্যবহার করে কেউ রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করুক।
এদিকে, সংঘর্ষের কারণে সাহেববাজার এলাকার দোকানপাট বন্ধ ছিল। তবে শহরে যানবাহন চলাচলও কম রয়েছে। এছাড়াও অবরোধের কারণে রাজশাহী থেকে দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে আন্তঃনগর বাস চলাচল করে। অপরদিকে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। বেশিরভাগ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল ছেড়ে চলে গেছেন।
বোয়ালিয়া থানার ওসি হুমায়ন কবীর বলেন, কোটা বিরোধী আন্দোলনের নামে ছাত্রশিবির ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা লাঠি-সোঠা নিয়ে সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করে। পরে পুলিশসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ধাওয়া খেয়ে তারা পালিয়ে যায়। শহরের পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।