নন্দীগ্রামে ৬ মাস পর কবর থেকে শিশুর মরদেহ উত্তোলন

প্রকাশিত: আগস্ট ৩, ২০২৪; সময়: ২:৫৩ অপরাহ্ণ |
নন্দীগ্রামে ৬ মাস পর কবর থেকে শিশুর মরদেহ উত্তোলন

নিজস্ব প্রতিবেদক, নন্দীগ্রাম : আদালতে দায়ের করা হত্যা মামলার প্রেক্ষিতে বগুড়ার নন্দীগ্রামে ৪ মাস বয়সি শিশু নূর সাফায়েত মিজানের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) বগুড়া।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, নন্দীগ্রাম শিল্প ও বণিক সমিতির সহসভাপতি এবং বিশিষ্ট ব্যবসায়ী একেএম ফজলুল হক কাশেমের দ্বিতীয় স্ত্রী সালমা বেগমের গর্ভে জন্ম নেওয়া ৪ মাসের শিশুপুত্র নূর সাফায়েত মিজানকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার অভিযোগে এনে নন্দীগ্রাম জুডিসিয়াল আমলী আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন সালমা বেগম।

ওই মামলায় আসামি করা হয় একেএম ফজলুল হক কাশেমের (মৃত প্রথম স্ত্রীর পক্ষ) ছেলে জোবায়ের হোসেন সেতু, মেয়ে নূর আফরোজ জ্যোতি ও পুত্রবধূ সাথী আকতারকে।

মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর সকাল ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে আসামিরা ৪ মাসের শিশুপুত্র নূর সাফায়েত মিজানকে পরিকল্পিতভাবে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে। চলতি বছরের ১৩ মে এ ঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের করেন ওই শিশুর সালমা বেগম। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআই বগুড়াকে আদেশ দেন।

এরপর পিবিআই বগুড়ার এসআই নাজমুল হক মামলাটির তদন্ত শুরু করেন। তিনি ময়না তদন্তের জন্য শিশু নূর সাফায়েত মিজানের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলনের আবেদন করলে আদালত একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে কবর থেকে শিশু নূর সাফায়েত মিজানের মরদেহ উত্তোলন করার আদেশ দেন।

শনিবার (৩ আগস্ট) দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদমান আকিবের উপস্থিতিতে পিবিআই বগুড়ার এসআই নাজমুল হক ডম এনে নন্দীগ্রাম কচুগাড়ি কবরস্থান থেকে শিশুটির মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠান।

এ বিষয়ে এসআই নাজমুল হক বলেন, মামলাটি গুরুত্বের সাথে তদন্ত করা হচ্ছে। ফরেনসিক রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সালমা খাতুন বলেন, আমার ৪ মাস বয়সি সুস্থ শিশু সন্তানকে আসামিরা পরিকল্পিতভাবে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। আমি ন্যায় বিচারের জন্য আদালতে মামলা দায়ের করেছি।

একেএম ফজলুল হক কাশেম বলেন, আমার দ্বিতীয় স্ত্রী সালমা খাতুন খুব লোভী মহিলা। তার আচরণ একেবারেই ভালো নয়। যে কারণে আমি তাকে ডিভোর্স দিয়েছি। তার হত্যার অভিযোগ সঠিক নয়। নিজের স্বার্থের জন্য হত্যা মামলা করেছে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদমান আকিব জানান, সকলের উপস্থিতিতে শিশুটির মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। এখন ফরেনসিক রিপোর্টের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে।

 

পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে