ধ্বংসাত্মক কাজে জড়িয়ে নিজেদের কলঙ্কিত করা শিক্ষার্থীদের কাজ নয় : লিটন
নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র জননেতা এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন জামায়াত-শিবিরের হাতিয়ার হয়ে উঠে ধ্বংসাত্মক কাজে জড়িয়ে নিজেদের কলঙ্কিত করা কোন ছাত্র-ছাত্রীর কাজ নয়। তাদের বাবা-মাকে অনুরোধ করবো, আপনাদের সন্তানদের ঘরে নিয়ে যান। স্কুল-কলেজ খুলবে, স্কুল-কলেজে পাঠাবেন। আন্দোলন করে রাজপথে আগুন জ্বালিয়ে, মানুষকে হয়রানী করে, দেশকে অস্থির করা শিক্ষার্থীদের কাজ নয়। কারো কথায় প্ররোচিত হয়ে অহেতুক আন্দোলনের নামে ধ্বংসাত্মক কাজে লিপ্ত হবা না।
শনিবার দুপুরে বিএনপি-জামায়াতের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র, নৈরাজ্য ও সহিংসতার প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি ও প্রতিবাদ সমাবেশে পালনকালে এ সব কথা বলেন খায়রুজ্জামান লিটন। অবস্থান কর্মসূচি শেষে বেলা ২টায় কুমারপাড়াস্থ মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে তার নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদিক্ষণ শেষে দলীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। বিক্ষোভ মিছিল শেষে সেখানে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ২০১৩/২০১৪ সালে বিএনপি-জামায়াত-শিবির রেল লাইন উপড়ে ফেলেছিল, বাসে আগুন দিয়েছিল, অসংখ্য মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছিল এবং এদেশের অর্থনীতিকে স্থবির করে সরকার পতন করতে চেয়েছিল, আবার সেই একি নাটক আমরা নতুন করে মঞ্চস্থ হতে দেখছি। এবার কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যবহার করা হচ্ছে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কারের দাবিটি ইতোমধ্যে সরকার মেনে নিয়েছে। আরো কিছু দাবি থাকলে প্রধানমন্ত্রী পূরণ করবেন। প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে বলেছেন, গণভবনের দরজা খোলা আছে। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সাথে তিনি আলোচনা করতে চান।
তিনি আরো বলেন, সকল অপতৎপরতার পেছনে রয়েছে জামায়াত-শিবির। যদি তারা মনে করে শিক্ষার্থীদের র্দীঘদিন বিভ্রান্ত করে রাখতে পারবে, তাহলে তারা বোকার স্বর্গে বাস করছে। কারণ আমরা বিশ্বাস করি শুধু সময়ের ব্যাপার মাত্র, এই কোমলমতি শিক্ষার্থীরা তাদের সঙ্গে থাকবে না। তারা ঘরে ফিরে যাবে। যেহেতু তাদের দাবি পূরণ হয়েছে।
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে আপনারা আমাদের ডাকে বারবার রাজপথে এসেছেন। আমরা এভাবেই রাজপথে থাকবো। শান্তিপ্রিয় রাজশাহীকে আমরা অশান্ত হতে দেবো না।
রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, মহানগর যুবলীগ সভাপতি মনিরুজ্জামান খাঁন মনির, সাধারণ সম্পাদক তৌরিদ আল মাসুদ রনি, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আব্দুল মোমিন, সাধারণ সম্পাদক জেডু সরকার, মহানগর যুব মহিলা লীগ সভাপতি এ্যাড. ইসমত আরা, মহানগর ছাত্রলীগ সভাপতি নূর মোহাম্মদ সিয়াম, সাধারণ সম্পাদক ডা: সিরাজুম মুবিন সবুজ।
উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী, নাঈমুল হুদা রানা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আসলাম সরকার, মীর ইসতিয়াক আহম্মেদ লিমন, সিনিয়র সদস্য শামসুজ্জামান আওয়াল, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা: আব্দুল মান্নান, মহানগর শ্রমিক লীগ সভাপতি মাহাবুবুল আলম, সাধারণ সম্পাদক আকতার আলী, মহানগর কৃষক লীগ সভাপতি রহমতউল্লাহ সেলিম, সাধারণ সম্পাদক সাকির হোসেন বাবু, মহানগর যুব মহিলা লীগ সাধারণ সম্পাদক নিলুফার ইয়াসমিন নিলু, মহানগর তাঁতী লীগ সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান আনার প্রমূখ।