সিরাজগঞ্জে ১৩ পুলিশকে পিটিয়ে হত্যা করেছে আন্দোলনকারিরা

প্রকাশিত: আগস্ট ৪, ২০২৪; সময়: ৭:০৮ অপরাহ্ণ |
খবর > জাতীয় / লিড
সিরাজগঞ্জে ১৩ পুলিশকে পিটিয়ে হত্যা করেছে আন্দোলনকারিরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিরাজগঞ্জ : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে এক দফা দাবিতে সর্বাত্মক অসহযোগের প্রথম দিনে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানায় হামলা করে ১৩ জন পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করেছে আন্দোলনকারিরা। এ ঘটনার সময় নিহত হয়েছেন ৩ জন আন্দোলনকারীও। নিহতদের প্রাথমিকভাবে পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে নিহতদের মধ্যে কয়েকজন এসআই ও ওসি থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি বিজয় বসাক বলেন, “আন্দোলনকারীরা মিছিল নিয়ে এসে এনায়েতপুর থানায় হামলা ও ভাঙচুর চালায়। একপর্যায়ে তারা থানায় আগুন দেয় এবং সেখানে থাকা পুলিশ সদস্যদের পিটিয়ে হত্যা করে।”

তিনি বলেন, সন্ধ্যা সাতটার দিকে সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে গেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অন্য সদস্যরাও তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন। তাঁরা থানায় গিয়ে ১১টি লাশ পেয়েছেন। এর মধ্যে আটটি লাশ মসজিদের পাশে স্তূপ করা অবস্থায় পাওয়া গেছে। তিনটি লাশ পাওয়া গেছে পুকুরে। বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য এখনো নিখোঁজ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শনিবার সকাল ১০টায় খামারগ্রাম ডিগ্রী কলেজ ও খাজা ইউনুস আলী বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা মিছিল বের করে। মিছিলে যোগ দেন বিএনপি-জামাতের নেতাকর্মীরা। তারা লাঠি সোটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে এনায়েতপুরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

আন্দোলনকারিরা দুপুর ১টার দিকে লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে এনায়েতপুর থানায় হামলা চালাতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় রণক্ষেত্র পরিণত হয় এনায়েতপুর থানা এলাকা। পুলিশ আন্দোলনকারীদের হটাতে টিয়ার সেল ও আবার বুলেট ছুঁড়ে ছত্রভঙ্গের চেষ্টা করে। একপর্যায়ে আন্দোলনকারীরা থানায় ঢুকে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করে। এ সময় পুলিশ সদস্যরা থানা থেকে বের হয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পিটিয়ে ১৩ পুলিশ সদস্যকে হত্যা করে। যাদের মধ্যে একজনকে গলাই দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে রাখে আন্দোলনকারিরা। এ সময় গুলিতে তিন আন্দোলনকারী আহত হন। তাদের খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যায়।

এছাড়াও আন্দোলনকারীর এনায়েতপুর থানার পাশাপাশি হাটিকামরুল হাইওয়ে থানা, শাহজাদপুর পৌরসভা কার্যালয়, শাহজাদপুর এমপি চয়ন ইসলামের বাড়িতে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।

পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে