ইরান বা ইসরায়েলের যুদ্ধক্ষেত্র হবে না জর্ডান, হুঁশিয়ারি সাফাদির

প্রকাশিত: আগস্ট ১১, ২০২৪; সময়: ৯:০০ পূর্বাহ্ণ |
ইরান বা ইসরায়েলের যুদ্ধক্ষেত্র হবে না জর্ডান, হুঁশিয়ারি সাফাদির

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : টানা ১০ মাসেরও বেশি সময় ফিলিস্তিনের গাজায় চলছে ইসরায়েলের আগ্রাসন। এর মধ্যেই মধ্যপ্রাচ্যে বাজছে নতুন আরেক সর্বাত্মক যুদ্ধের দামামা। সম্প্রতি ইরানে গুপ্তহামলায় হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়া নিহত হয়েছেন।

এই হামলা ও হত্যাকাণ্ডের জন্য হামাস ও ইরান ইসরায়েলকে দায়ী করেছে এবং প্রতিশোধ নেওয়ার অঙ্গীকার করেছে। এতে করে ইরান ও ইসরায়েলের বড় ধরনের সংঘাতের শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। এমন অবস্থায় ইরান ও ইসরায়েলের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে জর্ডান।

দেশটি বলেছে, তারা ইরান বা ইসরায়েলের জন্য যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হবে না। এছাড়া নিজেদের আকাশসীমায় যে কোনো লক্ষ্যবস্তুকে গুলি করে ধ্বংস করার কথাও ইরান ও ইসরায়েলকে জানিয়ে দিয়েছে জর্ডান।

রোববার (১১ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরান বা ইসরায়েলের জন্য জর্ডান যুদ্ধক্ষেত্র হবে না বলে জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি শনিবার জানিয়েছেন। সৌদি নেতৃত্বাধীন আল আরাবিয়া টিভিতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমরা ইরান বা ইসরায়েলের জন্য যুদ্ধক্ষেত্র হব না। আমরা ইরানি এবং ইসরায়েলিদের জানিয়েছি, আমরা কাউকে আমাদের আকাশসীমা লঙ্ঘন করতে এবং আমাদের নাগরিকদের নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ফেলতে দেব না।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘আমাদের আকাশসীমার মধ্য দিয়ে যাওয়া বা আমাদের বা আমাদের নাগরিকদের জন্য হুমকি বলে মনে হয় আমরা এমন যে কোনো কিছুকে আমরা আটকাব।’

চলতি বছরের এপ্রিলে ইসরায়েলে প্রথমবারের মতো হামলা চালায় ইসরায়েল। তবে সেই হামলার সময় ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে অবস্থিত জর্ডান ইরানি অনেক ক্ষেপণাস্ত্র আটকে দেয়। দেশটি সেসময় বলেছিল, নিজেদের আকাশসীমায় প্রবেশ করার কারণে সেগুলোকে আটকে দেওয়া হয়েছে।

সিরিয়ায় ইরানের দূতাবাস কম্পাউন্ডে সন্দেহভাজন ইসরায়েলি হামলার প্রতিশোধ নেওয়ার জন্যই সেই হামলা চালিয়েছিল ইরান। অবশ্য সেই হামলার পর জর্ডান, ইরাক এবং তুরস্কের কর্মকর্তারা বলেছিলেন, হামলা চালানোর আগেই ইরান তার পদক্ষেপের বিষয়ে আগাম সতর্কতা প্রদান করেছে।

প্রসঙ্গত, গত ৩১ জুলাই তেহরানে গুপ্ত হামলায় ইরান-সমর্থিত ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের রাজনৈতিক নেতা ইসমাইল হানিয়া নিহত হন। এই হত্যাকাণ্ডে সন্দেহের তীর ইসরায়েলের দিকে এবং ইরানও এই হামলার প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

এছাড়া এই হত্যাকাণ্ডের জন্য হামাসও ইসরাইলকে দায়ী করেছে।

পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে