গোদাগাড়ীতে আদিবাসীকে মেরে রক্তাক্ত করে জমি দখলের চেষ্টা

প্রকাশিত: আগস্ট ১৪, ২০২৪; সময়: ৬:১৪ অপরাহ্ণ |
গোদাগাড়ীতে আদিবাসীকে মেরে রক্তাক্ত করে জমি দখলের চেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে এক আদিবাসী পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান, মারধর করে রক্তাক্ত ও জোর পূর্বক জমি দখলের চেষ্টা করা হয়েছে। এই নিয়ে গোদাগাড়ী মডেল থানা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন ভূক্তোভোগী লিটন দাসের স্ত্রী সোলিনা মুর্ম।

ঘটনাটি বুধবার (১৪ আগস্ট) সকাল ১০ টার দিকে উপজেলার গোগ্রাম ইউনিয়নের শিতলপুর গ্রামে ঘটে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার গোগ্রাম ইউনিয়নের শিতলপুর গ্রামের লিটন টুডু চরকপুর মোজার রেকর্ডীয় জমি ১৪ শতক ও খাসজমি ৪৪ শতক প্রায় শত বছর থেকে ভোগ দখল করে আসছে। কিন্তু কুমুরপুর গড়বাড়ী গ্রামের গণি মোম্মদের ছেলে রেজাউল করিম (৫০), তার দুই ছেলে রতন (২৫) ও মো: জিবু (২৮) এবং বান্দুড়িয়া গ্রামের আফসার আলীর ছেলে সেরাজুল (৫০) গত ১০ আগস্ট জোর পূর্বক ভাবে জমি দখলের চেষ্টা করেন। পুনরায় গত ১৩ আগস্ট তারা লিটন টুডুর বাড়ীতে এসে হুমকি প্রদান করে যে, আমরা যদি জমিতে আবাদ করতে যায় তাহলে আমাদের পরিবারের যাকে পাবে তাকেই প্রাণে মেরে ফেলবে।

লিটন টুডু বুধবার (১৪আগস্ট) সকাল ১০ টার দিকে ধান কুটানোর (ভাঙ্গানোর) জন্য মিলে গেলে রেজাউলসহ তার সঙ্গে থাকা দুই ছেলে ও অপরজন অকথ্য ভাষায় গালিগালজ করে। এসব হাতুড়ী, সাবল , সেলাই রেঞ্জ, বাঁশ দিয়ে এলোপাথারি মেরে রক্তাক্ত করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে গোদাগাড়ী প্রেমতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে।

লিটন টুডুর ছেলে সজীব টুডু অভিযোগ করেন, রেজাউল দীর্ঘদিন থেকে আমাদের বসবাসরত জমি দখলের চেষ্টা করে আসছে। সে ভূয়া তথ্য দিয়ে কিছু কাগজ পত্র করে। কিন্তু আমাদের দখলে থাকায় বিভিন্ন সময়ে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসে। এনিয়ে আদালতে মামলা চলমান আছে। তারা স্বাক্ষী হাজির করতে না পারায় মামলায় সুবিধা করতে পারে না।

কোন উপায় না পেয়ে সে বলতে থাকে আওয়ামী লীগ সরকার বিদায় হলেই তোকে দেখে নেবো কিভাবে জায়গা উদ্ধার করতে হয়। সে এলাকার প্রভাবশালী ও টাকা পয়সা থাকায় আমরা তাদের সাথে লেগে পারিনা। এরই ধারাবাহিকতায় আমার পিতাকে তারা মেরে রক্তাক্ত করেছে। পিঠে রড, সাবল দিয়ে এমন ভাবে মেরেছে মনে হচ্ছে মেরুদন্ডের হাড় ফেটে গেছে। এছাড়ার শরীরের আরো বিভিন্ন অংশে কাটা ফোলা ও রক্তাক্ত করেছে।
এবিষয়ে গোদাগাড়ী মডেল থানার ওসি আতাউর রহমান বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি দ্রুত তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল হায়াত বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনে জমি বুঝিয়ে দিয়ে আসবো। রাজশাহীতে আদিবাসীদের নিয়ে এমন ঘটনা নেই হঠাৎ করেই এই ঘটনাকি ঘটে গেছে। তিনি সকলকে দেশের এমন পরিস্থিতিতে অপরাধ মূলককাজ হতে বিরত থাকা ও সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে