বাঘায় স্কুল ছাত্রীর শ্লীলতাহানির মামলায় শিক্ষক গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: আগস্ট ২০, ২০২৪; সময়: ১১:০৭ অপরাহ্ণ |
বাঘায় স্কুল ছাত্রীর শ্লীলতাহানির মামলায় শিক্ষক গ্রেপ্তার

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, বাঘা : রাজশাহীর বাঘায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির মামলায় পীযুষ কুমার নামে এক শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি বাঘা মডেল সরকারী  প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী  শিক্ষক।

সোমবার সোমবার (১৯আগষ্ট) তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলায় আরো ২জন শিক্ষককে আসমী করা হয়েছে।  এরা হলেন- বাঘা মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনজারুল ইসলাম ও সহকারী শিক্ষক আরিফুল ইসলাম। তারা দুইজন পলাতক রয়েছেন।

শিক্ষার্থী অভিভাবক শিক্ষক পীযুষ কুমারসহ আনজারুল ইসলাম ও আরিফুল ইসলামকে  আসামী করে মামলা করেছেন ।

জানা যায়, (১৮ আগষ্ট) রোববার বিকাল সাড়ে ৩টায় চতুর্থ শ্রেণির বাংলাদেশ পরিবেশ ও বিশ্ব পরিচিতি ক্লাস শেষে ছুটি হয়ে যায়। বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীরা বাড়ি যাওয়ার জন্য ক্লাস থেকে বের হয়। এ সময় ওই বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক পীযুষ কুমার এক ছাত্রীকে ডেকে ক্লাস রুমের মধ্যে নিয়ে গিয়ে তাকে শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগ করা হয়। পরে  ওই শিক্ষার্থী বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি তার পরিবারকে বিষয়টি জানান।

পরিবারের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনজারুল ইসলামের নিকট অভিযোগ করা হয়। কিন্ত ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় ফুসে উঠে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

সোমবার সকাল ১০টার দিকে অভিযুক্ত সহকারি শিক্ষক পীযুষ কুমার বিদ্যালয়ে আসলে সকল শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে ওই শিক্ষককে ধাওয়া করলে আতœগোপনে চলে যান। পরে  বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে তার বাড়িতে গিয়ে ঘেরাও করেন শিক্ষার্থীরা। স্থানীয়দের অনুরোধে শিক্ষার্থীরা ফিরে আসে। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে এর আগেও এধরনের অভিযোগ উঠলেও ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হয়। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার,ওসি বিদ্যালয় গিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচারের আশ্বাস দিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।

বিদ্যালয়ের  প্রধান শিক্ষক আনজারুল ইসলাম বলেন, ঘটনার দিন আমি  ছুটি নিয়ে চিকিৎসকের কাছে  গিয়েছিলাম। আমি বিদ্যালয়ে ছিলাম না। পরের দিন পরিবারের পক্ষ থেকে ঘটনাটি জানানোর সাথে সাথে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবগত করেন। এরপরেও উড়তি বয়সের কিছু যুবক আমাকেও লাঞ্জিত করেছে।

বাঘা থানার (ওসি) আবু বাকার সিদ্দিক বলেন, এ বিষয়ে শিক্ষার্থীর এক অভিভাবক বাদি হয়ে  তিনজন শিক্ষককে আসামী করে মামলা করেন। সোমবার শিক্ষক পীযুষ কুমারকে তার বাড়ির পাশ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার (২০আগস্ট) আসামী পীযুষকে রাজশাহী কোর্ট হাজতে প্রেরণ করা হয়। অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্ঠা চলছে বলে জানান ওসি।

পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে