কুষ্টিয়া থানা থেকে লুট হওয়া ৩৫ আগ্নেয়াস্ত্র হস্তান্তর
নিজস্ব প্রতিবেদক, কুষ্টিয়া : কুষ্টিয়া মডেল থানা থেকে লুট হওয়া আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি ও টিয়ারশেল উদ্ধার করে তা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে সেনাবাহিনী।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) সকাল ১১টায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে উদ্ধারকৃত বিভিন্ন ধরনের ৩৫টি আগ্নেয়াস্ত্র, সহস্রাধিক রাউন্ড গুলি ও টিয়ারশেল জমাদেন ক্যাপ্টেন লাম ইয়ানুল ইসলাম।
এসময় সেনাবাহিনী ও পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। গত ৫ আগষ্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে কুষ্টিয়া মডেল থানা ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালায় দুর্বৃত্তরা। সে সময় লুট করা হয় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ।
জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের।
উল্লাসে ফেটে পড়ে কুষ্টিয়ার ছাত্র জনতা। একপর্যায়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় হামলা, অগ্নিসংযোগ করে তারা। এই সুযোগে থানা থেকে সব কিছু লুটপাট করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় অস্ত্র গোলাবারুদ সহ যে যা পেরেছেন লুটপাট করে নিয়ে যায়। এরপর থেকে ব্যবহার অনুপযোগী কুষ্টিয়া মডেল থানার দাপ্তরিক কাজ সদর পুলিশ ফাঁড়িতে চলছে।
পরে বিভিন্ন জায়গা থেকে এসব লুট হওয়া অস্ত্র গোলাবারুদ উদ্ধার করে সেনা সদস্যরা। অস্ত্র হস্তান্তরের সময় সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন লাম ইয়ানুল ইসলাম বলেন, সাধারণ মানুষ সেনাবাহিনীকে অস্ত্র উদ্ধারে খুব সহায়তা করছেন। তারা তথ্য দিচ্ছেন, উদ্ধার করে জমা দিচ্ছেন। এর আগে বিভিন্ন স্থানে মডেল থানা থেকে খোয়া যাওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ নির্ভয়ে সেনাবাহিনীর কাছে ফেরত দেওয়ার জন্য প্রচার চালানো হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) তারেক জুবায়ের বলেন, মডেল থানা থেকে খোয়া যাওয়া অস্ত্র, গুলি ও টিয়ারশেল উদ্ধার করে পুলিশের কাছে জমা দিয়েছে সেনাবাহিনী। খোয়া যাওয়া অস্ত্র ধীরে ধীরে উদ্ধার হচ্ছে।
তিনি বলেন,অস্ত্রগুলো খারাপ মানুষের হাত পড়লে তারা খারাপ কাজে ব্যবহার করতে পারে। তাই এগুলো উদ্ধার করা খুবই জরুরি। যেকেউ নির্ভয়ে খোয়া যাওয়া অস্ত্র আমাদের কাছে জমা দিতে পারেন। নিজেরা ভয়ে আসতে না পারলে অন্য কাউকে দিয়ে জমা দিতে পারে বলে জানান জেলা পুলিশের এই কর্মকর্তা।