সীমান্তে গ্রেপ্তারের পর যা বললেন বিচারপতি মানিক

প্রকাশিত: আগস্ট ২৪, ২০২৪; সময়: ১:০২ পূর্বাহ্ণ |
সীমান্তে গ্রেপ্তারের পর যা বললেন বিচারপতি মানিক

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে সিলেটের জকিগঞ্জ সীমান্ত থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জিয়াউর রহমানকে নিয়ে ‘আপত্তিকর মন্তব্য করার’ অভিযোগে শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের বিরুদ্ধে ঢাকা ও নোয়াখালীতে দুটি মামলা হয়েছে গত কয়েক দিনে। সে মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইলাম বলেন, শুক্রবার রাতে ‘ভারতে যাওয়ার প্রাক্কালে’ সীমান্তে বিজিবির হাতে তিনি আটক হন।

এদিকে, বিচারপতি মানিকের ধরা পরার একটি ভিডিও ফুটেজ সংবাদ মাধ্যমের কর্মীদের হাতে এসেছে। একজন বিজিবি সদস্য ভিডিওতে তাকে তার পরিচয় জিজ্ঞাসা করেন। উত্তরে তিনি জানান, তার বাড়ি মুন্সিগঞ্জ এবং তার নাম বিচারপতি শামসুদ্দিন মানিক। এসময় তাকে দেশত্যাগের কারণ জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, প্রশাসনের ভয়ে তিনি দেশ ছেড়ে পালাচ্ছিলেন।

ভিডিওতে মানিক আরও জানান, তারসাথে ব্রিটিশ ও বাংলাদেশি পাসপোর্টের পাশাপাশি ডেবিট-ক্রেডিট কার্ড, নগদ ৪০ হাজার টাকাও ছিলো। কয়েকজনের সাহায্যে ১৫ হাজার টাকার চুক্তিতে তাকে বর্ডার পাড় করে দেয়ার পরিকল্পনা হয়। তবে সেই টাকা নেয়ার পরও দুজন যুবক তাকে প্রহার করেন বলেও জানান সাবেক এই বিচারপতি। এছাড়া তার ৬০-৭০ লাখ টাকা তারা নিয়ে গেছে বলেও ভিডিওতে উল্লেখ করেন তিনি।

আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষে সোচ্চার এই সাবেক বিচারপতি বিভিন্ন সময়ে তার মন্তব্যের জন্য আলোচিত ছিলেন। গত ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে তার কোনো খোঁজ মিলছিল না। এরইমধ্যে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে ‘আপত্তিকর মন্তব্য করার’ অভিযোগে শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে বৃহস্পতিবার।

মো. জিয়াউল হক নামে এক আইনজীবী ঢাকার মহানগর হাকিম সাইফুল ইসলামের আদালতে ওই মামলা দায়ের করেন। ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনুকেও সেখানে আসামি করা হয়।

‘মানহানির’ অভিযোগে বিবাদীদের কাছে ৩০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন বাদী। বিচারক তার আর্জি শুনে অভিযোগ তদন্ত করে পিবিআইকে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ২০২২ সালের ৩ অক্টোবর চ্যানেল আইয়ের একে আলোচনা অনুষ্ঠানে জিয়াউর রহমানকে ‘রাজাকার ও যুদ্ধাপরাধী হিসেবে’ আখ্যায়িত করেন। গত বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি একটি সেমিনারে তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান ‘মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না’। তিনি ছিলের মুক্তিযুদ্ধে ‘অনুপ্রবেশকারী’।

এছাড়া জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল হাসান পলাশ গত ১৯ অগাস্ট নোয়াখালীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে আরেকটি মামলা করেছেন। সেখানেও জিয়াউর রহমান সম্পর্কে ‘আপত্তিকর মন্তব্য’ করার অভিযোগ আনা হয়েছে সাবেক বিচারপতি মানিকের বিরুদ্ধে।

পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে