সাংবাদিকদের সঙ্গে পাবনায় নবাগত পুলিশ সুপার মোরতোজা আলী খাঁনের মতবিনিময়
রাজিউর রহমান রুমী, পাবনা : ‘মাত্র শতাধিক পুলিশ কর্মকর্তা দেশের এই সব গনহত্যার জন্য দায়ী’। কিন্তু এদের দায়ভার বহন করতে হচ্ছে গোটা পুলিশ বাহিনীকে। পুলিশ একটি সুসজ্জিত এবং প্রয়োজনীয় আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী।
পুলিশ মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হওয়ায় দেশে এখন নানা ঘটনা ঘটছে। এখন ভুল ত্রুটি না ধরে পুলিশের মনোবল বাড়াতে সাংবাদিকদের সহযোগিতা চান তিনি৷ বৃহস্পতিবার দুপুরে পাবনার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় পাবনায় নবাগত পুলিশ সুপার মোরতোজা আলী খাঁন এ সব কথা বলেন।
পুলিশ সুপার কার্যালয়ের কনফারেন্স হল রুমে পরিচয় পর্ব ও মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন নবাগত পুলিশ সুপার মোরতোজা আলী খাঁন। বক্তব্য রাখেন, পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ মাসুদ আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরজুমা আক্তার, পাবনা প্রেসক্লাব সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সরোয়ার মোর্শেদ উল্লাস, দৈনিক জোড় বাংলার সম্পাদক আব্দুল মতীন খান, একুশে টিভি ও মানবজমিন এর স্টাফ রিপোর্টার রাজিউর রহমান রুমী, যমুনা টিভির কলিট তালুকদার প্রমুখ।
এ সময় পুলিশ সুপার সাংবাদিকদের উদ্যোশে বলেন, সম্প্রতি বৈষম্য বিরোধী ছাত্রজনতা আন্দোলনের পরে দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বেশ নাজুক হয়ে পরেছে। সারা দেশে কমল মতি ছাত্রজনতার সাথে তৎকালীন উর্ধতন পুলিশ কর্মকর্তাদের দেয়া নির্দেশে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অনেক স্থানে পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। অনেক স্থানে পুলিশের অবকাঠামো ব্যপকভাবে
ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেই অস্বাভাবিক পরিস্থিতি থেকে সারা দেশের মানুষকে পূণরায় পুলিশের প্রতি আস্থা ফিরিয়ে আনতে স্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি করতে কাজ চলছে আমাদের। ছাত্র জনতার সাথে যেসকল পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন আমি মনে করি তারাও শহীদ হয়েছেন। সকলের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা ভালোবাসা থাকবে সবসময়।
দেশে যে অরাজকতা নিয়ম বহির্ভূত মিথ্যাচার চলছিলো সেটির অবসান ঘোটেছে। আমি দীর্ঘ সময় নৌ পুলিশের দায়িত্ব পালন করেছি। তবে পুলিশ সুপার হিসাবে এটাই আমার প্রথম জেলা। দেশের সকল ঘটনার তথ্য উপাত্ত তুলে ধরেন আপনারা সাংবাদিক ভায়েরা। আপনাদেরকে বলা হয় রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। আপনাদের সত্য ও সঠিক লিখনির মাধ্যমে দেশের মানুষ সকল খবর জানতে পারে। আমাকে একটু কাজ করার পরিবেশ ও সময় দেবেন। আমি চেষ্টা করবো আপনাদের সেবা দেয়ার।
দেশে অন্তবর্তিকালীণ সরকার গঠনের পরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও পুলিশিং কার্যক্রমের গতি ফিরিয়ে আনতেই এই উদ্যোগ নিয়েছেন চলমান সরকার ও পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তারা।