পাবনায় অনিয়ন্ত্রিত লোডশেডিং : জনজীবন অতীষ্ট
নিজস্ব প্রতিবেদক, পাবনা : পাবনায় গত কয়েকদিন ধরে প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা লোডশেডিং করা হচ্ছে। বিদুৎ গ্রিডথেকে সরবরাহের ঘাটতি বেশি থাকায় লোডশেডিংয়ের সময়সূচি ঠিক রাখা যাচ্ছে না।যখন তখন দেয়া হচ্চে লোড শেডিং। বিপত্তিতে পড়েছে বিদুৎ গ্রাহকরা। কল-কারখানায় ব্যাহত হচ্ছে উৎপাদন। তার উপর কয়েক দিনের ভ্যাপসা গড়মে নাভিষ্সাস সাধারন মানুষের। বিদুৎ সংকটের কারণে বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে লোড শেডিং এর পরিমান অনেক বেশি। বিদুৎ না পাওয়ায় জমিতে সঠিক ভাবে সেচ দিতে পারছে না কৃষক। সরবরাহ কম থাকায় ঘোষিত সময়ের বাইরে লোডশেডিং দিতে বাধ্য হচ্ছে বিদুৎ সরবরাহ অফিস।
পাবনা জেলা শহরের নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (নেসকো) ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যুতের চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কমেছে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ কম বিদ্যুৎ। ফলে কোনো অবস্থাতেই লোডশেডিংয়ের নির্ধারিত সূচি মানা সম্ভব হচ্ছে না।
পাবনা শহরের কালাচাঁদপাড়া তেল মিল মালিক আলহাজ র হমত আলী জানান, অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের কারণে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে নানা ধরনের ঝামেলা তৈরি হচ্ছে। ব্যবসা টিকিয়ে রাখার জন্য জেনারেটরের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। এতে উৎপাদন খরচ অনেক বেড়ে গেছে। অন্যদিকে শহরের পার্শ্ববর্তী ঈশ্বরদী উপজেলার আতাইলাকুলা শিমুল, খয়েরবাড়িয়া, অটঘরিয়া উপজেলার দেবোত্তর গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গ্রামে দিনের মতো রাতেও লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গড়ে চার থেকে পাঁচ বার এবং সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত অন্তত আরো দুই তিন বার লোডশেডিং দেওয়া হয়। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ১ এর মহাব্যবস্থাপক মো. শফিউল আলম সাংবাদিকদের জানান, মোট বিদ্যুৎ চাহিদার মধ্যে অর্ধেক সরবরাহ পাচ্ছি। ফলে কিছুই করার থাকছে না। বিদ্যুৎ যেটুক মিলছে, তাই ভাগ করে সরবরাহ করা হচ্ছে।
পাবনা নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (নেসকো) নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুল হক বলেন, চাহিদা মতো বিদ্যুৎ পাচ্ছেন না। তাই অতিরিক্ত লোডশেডিং হচ্ছে।পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি -২ এর মহা ব্যবস্থাপক মোঃ মেজিবুল হক জানান, বিদুৎ কম পাওয়ায় লোডশেডিং দিতে হচ্ছে। তবে কৃষকদের সেচের কথা মাথায় রেখে আমরা সেই ভাবে ব্যবস্থা নিচ্ছি।