সবুজ আর প্রকৃতির কাছাকাছি আরণ্যক পার্ক অ্যান্ড রিসোর্টের যাত্রা শুরু
নিজস্ব প্রতিবেদক, পাবনা : এক একর জায়গাটির পুরোটাই গাছগাছালি আর ফুলের সমারোহ। যেন এক টুকরো সবুজ বাগান। চারপাশে সবুজ প্রকৃতির হাতছানি। ইচ্ছে করে ছুঁয়ে দেখতে। তার মাঝেই বসার জন্য সুন্দর জায়গা। দম বন্ধ পরিস্থিতি থেকে একটু শ্বাস নেয়ার পরিবেশ। যেখানে বসলে হারিয়ে যাবেন অন্য জগতে। শুধু বেড়ানোই নয়, থাকবে রেস্টুরেন্ট। যেখানে কম দামে পাওয়া যাবে নানা স্বাদের খাবার।
ছায়ায় ঘেরা এমনই সবুজ প্রকৃতি ঘিরে গড়ে উঠেছে আরণ্যক পার্ক অ্যান্ড রিসোর্ট। যার অবস্থান পাবনার চাটমোহর উপজেলার বাইপাস সড়কের উথুলীতে।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে অনাড়ম্বর পরিবেশে উদ্বোধন করা হয় এই পার্ক অ্যান্ড রিসোর্টটি। এ সময় পার্কের স্বত্বাধিকারী অবসরপ্রাপ্ত বিগ্রেডিয়ার জেনারেল একেএম সাইফুল ইসলাম সেলিম, সিনিয়র সাংবাদিক রাজিউর রহমান রুমী, চাটমোহর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক চলনবিল পত্রিকার সম্পাদক রকিবুর রহমান টুকুন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বিকাশ সাহা, চাটমোহর মহিলা ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যাপক খলিল উদ্দিন হায়দার খান শান্ত, সরকারি অধ্যাপক সৌমিত্র কর্মকার শিল্টু সহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বিকাশ সাহা বলেন, চাটমোহরে বেড়ানোর মতো একটু সময় কাটানোর মতো ভাল জায়গা বা পরিবেশ নাই। তবে সেলিম ভাই যে উদ্যোগ নিয়েছেন তা খুবই সময়োপযোগী। এখানে পরিবার নিয়ে সময় কাটানোর জন্য চমৎকার জায়গা। আমি আশা করি আরো সুন্দর করে পার্কটি সাজানো হবে। এর মাধ্যমে চাটমোহরের মানুষ উপকৃত হবে।
চাটমোহর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি রকিবুর রহমান টুকুন বলেন, আমরা একটা যান্ত্রিক সময় পার করছি। অখন্ড অবসর সময় পাওয়া যায় না। তাছাড়া চাটমোহরে সময় কাটানোর মতো তেমন জায়গাও নেই। কিন্তু আজ আরণ্যক যে পার্ক বা রিসোর্ট চালু হলো তা আমাদের জন্য স্বস্তির খবর। এখানে আসলে অন্তত প্রকৃতির বিশুদ্ধ বাতাস পাবো, সবুজের সাথে সসয় কাটাতে পারবো।
সাংবাদিক রাজিউর রহমান রুমী বলেন, জায়গাটি সবুজে ঘেরা, সুন্দর পরিবেশ গড়ে তোলা হয়েছে। আকর্ষণীয় অবকাঠামো তৈরী করা হয়েছে। পুকুরের পাড়ে ছোট ছোট ঘর এবং বেঞ্চ দিয়ে বসার চমৎকার জায়গা করা হয়েছে। রেস্টুরেন্টে খাবার ব্যবস্থা আছে। সবমিলিয়ে চাটমোহর তথা পাবনার মানুষ পরিবার নিয়ে বিনোদন পাবে।
আরণ্যক পার্ক অ্যান্ড রিসোর্টের স্বত্ত্বাধিকারী অবসরপ্রাপ্ত বিগ্রেডিয়ার জেনারেল একেএম সাইফুল ইসলাম সেলিম বলেন, ২০১৬ সালে জায়গাটি কিনেছি। তারপর মনে হলো এমন কিছু করবো যাতে মানুষ এখানে এসে দু’দণ্ড শান্তি পায়। সেটাই হবে আমার জন্য শান্তির। সেই চিন্তা থেকে এই পার্ক রিসোর্টটি করা।
তিনি বলেন, মানুষ এখন যান্ত্রিক হয়ে গেছে। সপ্তাহের ৫ দিন কর্মব্যস্ত থাকলেও বাকি দু’দিন এখানে এসে পরিবার নিয়ে সময় কাটাতে পারবেন, আমি মানষিক শান্তি পাবো।
এখানে সকাল দশটা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত খোলা থাকবে। যে কেউ এই সময়ের মধ্যে এখানে সময় কাটাতে পারবেন। কোনো এন্ট্রি ফি লাগবে না। এখানে রেস্টুরেন্ট থাকবে, কমিউনিটি সেন্টার থাকবে, বসার বিভিন্ন জায়গা থাকবে। বাচ্চাদের খেলার রাইড থাকবে। মানুষ সবুজ প্রকৃতির সান্নিধ্য পাবেন।
সেলিম বলেন, আমি আশপাশে রেস্টুরেন্টে খোঁজ নিয়েছি, তার চেয়ে অনেক কম দামে এখানে রেস্টুরেন্টে খাবার পাওয়া যাবে। যাতে সবধরনের মানুষ এখানে আসতে পারেন। আমি চাই এটাকে দীর্ঘস্থায়ী করতে। এজন্য সবার সহযোগিতা চাই।