মধ্যপ্রাচ্যে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা
পদ্মাটাইমস ডেস্ক : লেবানিজ সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর পেজার এবং ওয়াকিটকি বিস্ফোরণ সব কিছুর সীমা অতিক্রম করেছে বলে মন্তব্য করেছেন হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরাল্লাহ।
এই হামলায় অভিযুক্ত ইসরায়েল। আর এর রেশ কাটতে না কাটতেই লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। পর পর ঘটে যাওয়া এসব ঘটনায় মধ্যপ্রাচ্যে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা আরও বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে দেওয়া বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরাল্লাহ স্বীকার করেছেন যে হিজবুল্লাহ একটি বড় ধরনের আঘাতের মধ্যদিয়ে যাচ্ছে। তবে তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এই লড়াই চালিয়ে যাওয়ার এবং হামলাকারীদের যোগ্য জবাব দেওয়ার।
তিনি বলেন বর্বরোচিত এই হামলা লেবাননের বিরুদ্ধে ইসরাইলি বাহিনীর যুদ্ধ ঘোষণার শামিল। লেবাননে ঘটানো পেজার বিস্ফোরণ দেশের সার্বভৌমত্ব এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে প্রশ্নের মুখে ছুড়ে দিয়েছে। তাই হামলাকারীদের এর যথাযথ উত্তর দেয়া হবে ।
গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরাইল ও হিজবুল্লাহের মধ্যে নিয়মিত পাল্টাপাল্টি বিমান ও রকেট হামলা অব্যাহত রয়েছে। হিজবুল্লাহর হামলার কারণে লেবাননের সীমান্তবর্তী নিজেদের উত্তরাঞ্চল থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষকে সরিয়ে নিয়েছে ইসরাইল।
এদিকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে যে তারা “হিজবুল্লাহর সন্ত্রাসী সক্ষমতা হ্রাস এবং উত্তর ইসরায়েলের নিরাপত্তা আনতে কাজ করছে।
হাসান নাসরাল্লাহ তার বক্তৃতায় ইসরায়েলী সামরিক বাহিনীকে বোকা আখ্যা দিয়ে বলেছেন যে এ ধরনের যেকোনো পদক্ষেপ ইসরায়েলের জন্য ভয়াবহ পরিণতি বয়ে আনবে।
গাজায় যুদ্ধের ফলে হিজবুল্লাহ এবং ইসরায়েলের মধ্যে এগারো মাস ধরে আন্তঃসীমান্ত লড়াইয়ের ফলে শতাধিক লোক নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই হিজবুল্লাহ যোদ্ধা, এবং সীমান্তের উভয় পাশে কয়েক হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
গাজায় যুদ্ধবিরতি না হলে এই গোষ্ঠীর আন্তঃসীমান্ত হামলা অব্যাহত থাকবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।