জয়পুরহাট জেলা আ.লীগের কার্যালয় গুঁড়িয়ে দিল রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৪; সময়: ৮:২৮ অপরাহ্ণ |
জয়পুরহাট জেলা আ.লীগের কার্যালয় গুঁড়িয়ে দিল রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ

নিজস্ব প্রতিবেদক, জয়পুরহাট : জয়পুরহাট জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় গুঁড়িয়ে দিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে এক্সেভেটর (ভেকু) দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।

এর আগে এদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে জেলা শহরের রেলওয়ের জায়গাতে গড়ে ওঠা দোকানসহ বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সাড়ে ১০টা থেকে জয়পুরহাট শহরের রেলগেট এলাকার পূর্বপাশের উত্তর দিকের অংশে গড়ে ওঠা বিভিন্ন দোকানপাটসহ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চালান রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সেখানে কমিউনিস্ট পার্টির অফিস, ছাত্র ইউনিয়নের জেলা অফিসও গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তারা একটি এক্সেভেটর (ভেকু) দিয়ে রেলওয়ের টিনের ছাউনি ও ইটের তৈরি তৈরি দোকানপাটসহ অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেন।

দুপুরের পর রেলগেটের পূর্ব দক্ষিণ অংশে অভিযান শুরু করেন। এসময় জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। অভিযানকালে রেলওয়ের বিপুলসংখ্যক পুলিশ উপস্থিত ছিল। তাদের সহযোগিতা করেন রেলওয়ে রোভার স্কাউটের সদস্যরা।

ব্যবসায়ীরা জানান, প্রায় ৩৫ বছর ধরে রেলওয়ের জায়গায় লিজ নিয়ে  ব্যবসা করে আসছিলাম।  গেল দুদিন আগে শহরে মাইকিং করে জানানো হয় শহরের রেলগেইট এলাকায় রেলওয়ের জায়গায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। আমরা ভেবেছিলাম আমাদের লিজ নেওয়া সম্পত্তি। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভেকু দিয়ে আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।  এতে তাদের ব্যাপক ক্ষতি হযেছে।

বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি জয়পুরহাট জেলা শাখার সভাপতি বদরুজ্জামান বদি বলেন, রেলওয়ে জায়গা লিজ নিয়ে পার্টি অফিস করেছি সেটি আজকে অবৈধভাবে ভেঙে ফেলেছ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে রেলওয়ে  কর্তৃপক্ষের কাছে আমার ঘরের কাগজপত্র ঠিক থাকার পরেও  ভাঙার কারণ জানতে চাইলে তারা আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করে।

ছাত্র ইউনিয়নের জেলা শাখার সভাপতি রিফাত আমিন বলেন, আমাদেরও কাগজপত্র ঠিক থাকার পরও জেলা ছাত্র ইউনিয়নের অফিস রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ গুড়িয়ে দিয়েছে এতে আমাদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে আমরা ক্ষতিপূরণ চাই।

জয়পুরহাট জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান বলেন, সকাল থেকে শহরের রেলওয়ের জায়গায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চলছে। এখানে সরকারি কাজে কোন বাধা যেন না আসে সেটি আমরা দেখবো।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের ঈশ্বরদী-পাকশী জোনের ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা আব্দুর রহিম বলেন, সকাল থেকেই আমরা অভিযান চালাচ্ছি। রেলওয়ের ভূমি উদ্ধার কাজ আমাদের চলমান প্রক্রিয়া। এর মাধ্যমে রেলওয়ের রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে। নতুন অন্তবর্তীকালীন সরকারের নির্দেশনা রয়েছে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার জন্য। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

 

পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে