মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা, তেলের দামে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা

প্রকাশিত: অক্টোবর ৪, ২০২৪; সময়: ১:১৬ অপরাহ্ণ |
মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা, তেলের দামে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনায় তেলের দামে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দিয়েছে। শুক্রবার ভোরে এশীয় বাজারে তেলের দাম সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে। বিনিয়োগকারীরা মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাত ও তেলের সরবরাহে সম্ভাব্য বিঘ্নের বিপরীতে বিশ্ব বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহের বিষয়টি নিয়ে লাভ-ক্ষতির হিসাব কষছেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতে ব্রেন্ট ক্রুড ফিউচার প্রতি ব্যারেল শূন্য দশমিক ১২ শতাংশ বেড়ে ৭৭.৭১ ডলারে দাঁড়িয়েছে। অপরদিকে মার্কিন ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ক্রুড ফিউচার প্রতি ব্যারেল ৮ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ১১ শতাংশ বেড়ে ৭৩ দশমিক ৭৯ ডলার হয়েছে।

দুই ধরনের তেলেই সপ্তাহে প্রায় ৮ শতাংশ বৃদ্ধি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বৃহস্পতিবার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তেলের স্থাপনায় হামলার বিষয়টি আলোচনা করছে। ইরানের ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিক্রিয়া হিসেবে এই মন্তব্য তেলের দামে ৫ শতাংশ বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে।

এএনজেড-এর বিশ্লেষক ড্যানিয়েল হাইনস বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে সরবরাহ বিঘ্নের আশঙ্কা মাথায় রেখে বাজারে দাম বাড়তে শুরু করেছে। মধ্যপ্রাচ্য বিশ্বজুড়ে তেলের এক-তৃতীয়াংশ সরবরাহ করে।

হাইনস আরও বলেন, অসন্তুষ্ট বিনিয়োগকারীদের মাধ্যমে দামের পরিবর্তন তীব্র হয়েছে। যদি বিনিয়োগকারীরা তেলের জন্য ঊর্ধ্বমুখী অবস্থান তৈরি করতে শুরু করে, তবে এটি আরও বাড়তে পারে।

তবে, মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাত এখনও বিশ্বজুড়ে অপরিশোধিত তেলের সরবরাহে বিঘ্ন ঘটায়নি। যা সরবরাহের আতঙ্ককে কিছুটা প্রশমিত করেছে।

লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলভিত্তিক সরকার ও ত্রিপোলিভিত্তিক জাতীয় তেল কর্পোরেশন বৃহস্পতিবার জানিয়েছে যে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নেতৃত্ব নিয়ে বিরোধ সমাধানের পর সব তেলক্ষেত্র ও রফতানি টার্মিনাল পুনরায় খোলা হয়েছে। যা তেল উৎপাদনে গুরুতর সংকট সৃষ্টি করেছিল।

ইরান ও লিবিয়া উভয়ই ওপেকের সদস্য। মার্কিন এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে ইরান প্রতিদিন প্রায় ৪০ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন করেছে। লিবিয়া গত বছর প্রতিদিন প্রায় ১৩ লাখ ব্যারেল উৎপাদন করেছে।

পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে