পাবি‌প্রবির শিক্ষক ছাত্রীর অনৈতিক সম্পর্কে শিক্ষককে একাডেমিক কার্যক্রমে অব্যাহতি, বিশ্ববিদ্যালয়ে তোলপাড়

প্রকাশিত: অক্টোবর ৯, ২০২৪; সময়: ৬:৪৬ অপরাহ্ণ |
পাবি‌প্রবির শিক্ষক ছাত্রীর অনৈতিক সম্পর্কে শিক্ষককে একাডেমিক কার্যক্রমে অব্যাহতি, বিশ্ববিদ্যালয়ে তোলপাড়

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, পাবনা : পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক ছাত্রীর অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ উঠেছে। ছাত্রী বিভাগীয় প্রধানের কাছে লিখিত অভিযোগের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে শিক্ষককে। ছাত্রী মুসলিম এবং শিক্ষক অবিবাহিত সনাতন ধর্মের হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে তোলপাড় চলছে।

শিক্ষকের নাম সুব্রত কুমার বিশ্বাস৷ সে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও পাবনার ঈশ্বরদী পৌর শহরের পোস্ট অফিস এলাকার বাসিন্দা৷ এবং ছাত্রী একই বিভাগের মাস্টার্সের ইভিনিং ব্যাচের শিক্ষার্থী।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কয়েক বছর ধরে শিক্ষক সুব্রত কুমারের ছাত্রীর সঙ্গে‌ প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। কিন্তু শিক্ষক পরবর্তীতে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়৷ ছাত্রী বিয়ের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় সমাজকর্ম বিভাগের চেয়ারম্যান বরাবর অভিযোগ দেন । এরপর বিষয়টি জানাজানি হলে বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়। যা নিয়ে এখন তোলপাড় চলছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের চেয়ারম্যান খাদিজাতুল কুবরা বলেন, আমরা অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। এজন্য ক্লাস-পরীক্ষাসহ একাডেমিক সকল কার্যক্রম থেকে ওই শিক্ষককে অব্যাহতি দিয়েছি৷ এবিষয়ে ব্যবস্থা নিতে আমার বিভাগের পক্ষ থেকে উপাচার্য বরাবর একটি তদন্ত রিপোর্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে জমা দিয়েছি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা জানান, বিষয়টি লজ্জাজনক। এমন শিক্ষককে ক্লাসে দেখলে বিব্রত লাগে।‌ বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জায়গায় শিক্ষককে নিয়ে যদি নৈতিকতার প্রশ্ন ওঠে তাহলে খুবই আত্মসম্মানে লাগে। এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রতিবেশী একটি দেশের গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে যুক্ত থেকে তথ্য পাচারের অভিযোগ আছে৷

এবিষয়ে শিক্ষক সুব্রত কুমার বিশ্বাস এর সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তার হোয়াটসঅ্যাপে নক দিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্য ড. এস এম আব্দুল আওয়াল বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি। ওই বিভাগের পক্ষ থেকে আমাকে জানানো হয়েছে। যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌননিপীড়ন বিরোধী একটি পূর্ণাঙ্গ সেল রয়েছে। আমি তাদেরকে বিষয়টি তদন্ত করতে বলেছি, যদি সত্যতা পাওয়া যায় তাহলে অবশ্যই এটার উপযুক্ত বিচার হবে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি নতুন, বিশ্ববিদ্যালয়কে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো করে গড়ে তুলতে চাই ।

পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে