বাস্তবমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে কমিশন গঠনের দাবি শিক্ষাবিদদের
পদ্মাটাইমস ডেস্ক : ঐতিহাসিকভাবে অভ্যুত্থানে কাজ করলেও শিক্ষার্থীরা এবং শিক্ষাব্যবস্থা বরাবরই প্রতারিত হয়ে আসছে। এর থেকে বেরিয়ে আসতে প্রাথমিক এবং প্রাক প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজিয়ে বাস্তবমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে এবং সঠিক তদারকি করতে স্থায়ী শিক্ষা কমিশন গঠন প্রয়োজন।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে শিক্ষাব্যবস্থা ও শিক্ষাক্রম সংস্কার নিয়ে আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন আলোচনায় অংশ নেয়া শিক্ষাবিদ এবং গবেষকরা। উচ্চশিক্ষিত হয়েও চাকরি না পেয়ে হতাশ দেশের তরুণ সমাজ। লন্ডনের ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের তথ্যমতে, বাংলাদেশে শিক্ষিত বেকারের হার সবচেয়ে বেশি। স্নাতক ডিগ্রিধারী তরুণ-তরুণীর প্রতি ১০০ জনের মধ্যে যার সংখ্যা ৪৭।
ক্ষমতার পালাবদলের পর আওয়ামী লীগ সরকার প্রণীত সর্বশেষ শিক্ষাক্রম থেকে সরে এলেও শিক্ষা সংস্কারের সুনির্দিষ্ট রূপরেখা এখনও সামনে আনতে পারেনি অন্তর্বর্তী সরকার। যদিও শিক্ষাবিদরা আশা করছেন, নতুন কারিকুলাম প্রণয়ন করতে আগামী বছর একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা দিতে পারবে তারা।
অগ্রগতি বলতে, গত ১ সেপ্টেম্বর জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০২২ ‘বাস্তবায়নযোগ্য নয়’ উল্লেখ করে পরিপত্র জারি করে ২০২৫ সালের জন্যে নির্ধারণ করা হয় ২০১২ সালে আওয়ামী লীগ সরকার প্রণীত সৃজনশীল শিক্ষানীতি। সেটাও খুব একটা বিতর্কের ঊর্ধ্বে ছিল না। রাষ্ট্র সংস্কারে এরই মধ্যে আলাদা আলাদা ১০টি কমিশন গঠিত হলেও শিক্ষার মত এত গুরুত্বপূর্ণ দিকটি সংস্কারে কোনো পদক্ষেপ এখনও পরিলক্ষিত হয়নি। তাই দ্রুত এ খাতে শহর এবং গ্রামের সমতা ফেরান এবং শিক্ষাকে ব্যবসা না বানিয়ে, ইতিবাচক এবং বিষয়ভিত্তিক পরিমার্জন আনার পরামর্শ শিক্ষাবিদদের।
গোলটেবিল বৈঠকে পরিচ্ছন্ন শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে নিজেদের পরামর্শ তুলে ধরেন আলোচকরা। সেখানে বরাবরের মত শিক্ষা ব্যবস্থাকে ফলাফল কেন্দ্রিক না রেখে শিখনফল নির্ভর করে গড়ে তোলার আহ্বান উঠে আসে। সঙ্গে জবাবদিহিতা নিশ্চিতে তদারকি করতে স্থায়ী শিক্ষা কমিশন গঠন করার আহ্বান জানান তারা।