ত্বকের কোন যত্নে কোন ফলের খোসা ব্যবহার করবেন?
পদ্মাটাইমস ডেস্ক : সুস্বাস্থ্যের জন্য ফল খাওয়ার উপকারিতা সবারই জানা। কিন্তু আপনি কি জানেন, ফলের খোসারও রয়েছে দারুণ উপকারিতা?
ত্বকের যত্নে ফলের খোসা দারুণ কাজ করে। রূপবিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফল খেয়ে তার খোসা না ফেলে তা রূপচর্চায় ব্যবহার করার।
তাই আসুন জেনে নিই, কোন ফলের খোসা ত্বকের কোন যত্নে কার্যকরী তার বিস্তারিত তথ্য-
কলার খোসা
ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেশিয়াম আর পটাশিয়ামে সমৃদ্ধ কলার খোসা ত্বক টানটান করে, মুখের ছোট/বড় পোর্স (গর্ত) মিলিয়ে দেয় এবং কালচে ভাব দূর করে।
বেদানার খোসা
বেদানা/ ডালিমে থাকা এ্যন্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের ভাজ রুখতে পারে। এমনকি ত্বকে নতুন কোষ গঠনেও সাহায্য করে। এছাড়া ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে ত্বককে সুস্থ রাখে বেদানার খোসা।
আপেলের খোসা
আপেলের খোসায় আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ ও ভিটামিন সি; যা ত্বকের জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিন কোলাজেন তৈরিতে কাজ করে। এছাড়া রোদে পোড়া ভাব, মুখ পরিষ্কার ও রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে আপেলের খোসা।
কমলার খোসা
কমলার খোসায় আছে ভিটামিন সি ও ক্যালসিয়াম। এর অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল ও অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল ব্রণের সমস্যা সমাধানে কাজ করে। তৈলাক্ত ত্বকের জন্যও কমলার খোসা ভীষণ উপকারী। এছাড়া ন্যাচারাল ক্লিনজার হিসেবে ভালো কাজ করে কমলার খোসা।
লেবুর খোসা
কমলার চাইতে প্রায় পাঁচ থেকে দশ গুণ বেশি ভিটামিন রয়েছে লেবুর খোসায়। এতে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম এবং পটাশিয়াম, যা ত্বকের উজ্জলতা বাড়ায় এবং ত্বককে প্রাণবন্ত করে তোলে।
রূপচর্চায় ফলের খোসার ব্যবহার পদ্ধতি
যে কোনো ফলের খোসা হালকা রোদে শুকিয়ে গুঁড়ো করে সংরক্ষণ করতে পারেন। সংরক্ষিত গুঁড়া পানি বা অন্য উপাদানের সাথে মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে ব্যবহার করুন।
রোদে শুকিয়ে ফলের খোসা গুঁড়ো করা ঝামেলা মনে হলে ঝটপট ব্লেন্ড করে পেস্ট বানিয়ে মুখে লাগাতে পারেন। এর সঙ্গে চাইলে অন্য কোনো উপাদান যোগ করতে পারবেন।
এছাড়া ফলের খোসাগুলো সরাসরি মুখে ঘষে নিয়েও মুখ ধুয়ে ফেলতে পারেন। যেভাবেই ব্যবহার করুন না কেন নিয়মিত ব্যবহারেই কার্যকর ফলাফল দেখতে পাবেন।