গোলাপজল ও শসার রস কি সব ধরনের ত্বকে মাখা যায়?

প্রকাশিত: অক্টোবর ২১, ২০২৪; সময়: ৫:০৯ অপরাহ্ণ |
গোলাপজল ও শসার রস কি সব ধরনের ত্বকে মাখা যায়?

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : আপনার ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে বা পিএইচের সমতা বজায় রাখতে গোলাপের জল ও শসার রস প্রায় একই রকম কাজ করে। কিন্তু ত্বকের ধরন ও সমস্যা জানা থাকলে সুবিধা হয়।

টোনার হিসাবে গোলাপজল ও শসার রস- দুটিই ভালো। ত্বকের জ্বালাপোড়া ভাব দূর করতে ফ্রিজে রাখা গোলাপজল অব্যর্থ। আবার ওপেন পোর্স থাকলে শসার রস মাখার নিদান দেন অনেকেই। তা সত্ত্বেও গোলাপজল বা শসার রস সব ধরনের ত্বকে মাখা যায় কি?

গোলাপজল ত্বকের ঠিক কোন কাজে লাগে, তা আমাদের জানা উচিত। যেমন-

১. ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে দারুণ কাজ করে গোলাপজল। রাসায়নিকমুক্ত এই তরল ত্বকের পিএইচের সমতা বজায় রাখতেও সাহায্য করে।

২. ত্বকের লালচে ভাব ও জ্বালাপোড়া নিরাময়েও গোলাপজল মাখা যায়। গোলাপজলের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান ত্বকের প্রদাহজনিত সমস্যায় দারুণ কাজ করে।

৩. অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ গোলাপজল ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতেও সাহায্য করে। তাই অকালে ত্বক বুড়িয়ে যাওয়ার ভয় থাকে না।

এবার শসার রস মাখলে ত্বকের কোন কোন সমস্যা দূর হয়, তা জেনে নিন। যেমন-

১. শসা প্রকৃতিগতভাবেই ঠান্ডা। ত্বকের কোনো অস্বস্তি চটজলদি কমাতে, মুখ বা চোখের চারপাশে ফোলা ভাব দূর করতে শসার রস মাখা যায়।

২. শসার মধ্যে জলের পরিমাণ বেশি। তাই ত্বকের গভীর থেকে আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে এই তরলটি। শসার রস মাখলে ত্বকের পেলবতাও বজায় থাকে।

৩. গোলাপজলের মতোই শসার রসে প্রদাহনাশক উপাদান রয়েছে। স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য এটি বেশ কাজের।

এবার কী ধরনের ত্বকের জন্য কোনটি ভালো উপাদান, তা জেনে নিন-

১. খসখসে ও শুষ্ক ত্বকের জন্য গোলাপজল ভালো। ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতেও এটি খুব কাজের। গোলাপজল প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার সমৃদ্ধ, তাই পেলবতা বজায় রাখতেও সাহায্য করে। ত্বকের তেমন কোনো সমস্যা না থাকলেও গোলাপজল মাখা যায়।

২. স্পর্শকাতর ও তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ভালো শসার রস। মুখ বা চোখের তলায় ফোলা ভাব দূর করার পাশাপাশি ত্বকের প্রদাহজনিত সমস্যা দূর করতেও সাহায্য করে এই তরলটি। ওপেস পোর্সের সমস্যা থাকলেও শসার রস মাখা যায়।

পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে