গুজরাটে একের পর এক হোটেলে বোমাতঙ্ক
পদ্মাটাইমস ডেস্ক : ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গুজরাটের একের পর এক হোটেলে বোমাতঙ্ক দেখা দিয়েছে। রাজ্যটির রাজকোট শহরের কমপক্ষে ১০টি হোটেল বোমা বিস্ফোরণে উড়িয়ে দেওয়া হবে, এমনই হুমকি দিয়ে হোটেল কর্তৃপক্ষকে ইমেইল পাঠানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
আর এরই জেরে হোটেলগুলোতে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। বোমাতঙ্কের এই ঘটনায় ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নিজের এই রাজ্যে আতঙ্ক উঠেছে চরমে। তবে তল্লাশি অভিযানের পরে এসব হুমকি ভুয়া বলে প্রমাণিত হয়।
ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে শনিবার (২৬ অক্টোবর) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গুজরাটের রাজকোট শহরের অন্তত দশটি হোটেল শনিবার ইমেইলে বোমার হুমকি পেয়েছে, যা পরবর্তীতে প্রতারণা বলে প্রমাণিত হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের (এসওজি) পুলিশ ইন্সপেক্টর এসএম জাদেজা বলেন, হোটেলগুলোতে দুপুর পৌনে ১টার দিকে ইমেইল আসে। পরে এসব হোটেল বিষয়টি পুলিশকে জানিয়ে বোমা নিষ্ক্রিয়কারী স্কোয়াড (বিডিএস) দিয়ে এই জায়গাগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তল্লাশি করতে বলে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে বিমানে বোমা থাকার ভুল খবর ছড়ানো হচ্ছিল। সেই ঘটনা নিয়ে ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি হয় এবং কেন্দ্রীয় সরকার এই ধরনের ঘটনা রোধে কড়া ব্যবস্থাও নেয়। এবার একের পর এক বিলাসবহুল হোটেলে বোমাতঙ্ক ছড়িয়েছে। গুজরাটের এই ঘটনায় তড়িঘড়ি তল্লাশি অভিযান শুরু করে পুলিশ।
মূলত রাজকোটের ১০টি বিলাসবহুল হোটেলে বোমাতঙ্ক ছড়িয়েছে। “বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়া হবে” – এই হুমকি দিয়ে হোটেল কর্তৃপক্ষগুলোকে ইমেইল পাঠানো হয়। একের পর এক এতগুলো হোটেলে এমন ইমেইল আসার পরই সঙ্গে সঙ্গে কর্তৃপক্ষ পুলিশকে জানায়। পরে পুলিশও তল্লাশি অভিযান শুরু করে।
পুলিশের একাধিক দল তৈরি করে সব হোটেলের কক্ষ, পার্কিং, লবিসহ বিভিন্ন জায়গায় চিরুনি তল্লাশি চালানো হয়। বোম্ব স্কোয়াডের পাশাপাশি তল্লাশিতে ছিল স্নিফার ডগও। হোটেলগুলোতে হুমকি-বার্তা আসায় শহরের নিরাপত্তাও বাড়ানো হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় গাড়ি তল্লাশি থেকে শুরু করে নিরাপত্তারক্ষীদের সতর্ক থাকার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ ইন্সপেক্টর এসএম জাদেজা বলেন, হুমকি-সম্বলিত ইমেইলের প্রেরক নিজেকে কান ডেন হিসাবে পরিচয় দিয়ে দাবি করেছেন- তিনি ১০টি হোটেলে বোমা রেখেছেন এবং কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সেগুলো বিস্ফোরিত যাবে।
তবে, প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে চলা তল্লাশি অভিযানের পরও সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি বলে জাদেজা জানান। তল্লাশি অভিযান সন্ধ্যা ৬টার দিকে শেষ হয় জানিয়ে তিনি বলেন, ইমেইলের প্রেরককে খুঁজে বের করার জন্য তদন্ত চলছে।