সেমিফাইনালে শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে বিদায় বাংলাদেশের
পদ্মাটাইমস ডেস্ক : হংকংয়ের ছোট মাঠে ৬ ওভারের ম্যাচে বড় পুঁজি গড়তে ব্যর্থ হয় বাংলাদেশ। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শ্রীলঙ্কার খুব একটা বেগ পেতে হলো না। এক টুর্নামেন্টে বাংলাদেশকে দুই দুইবার হারের স্বাদ দিয়ে হংকং সিক্সেসের ফাইনালে পৌঁছে গেছে লঙ্কানরা।
গ্রুপপর্বে হারের পর কার্যত প্রতিশোধের ম্যাচে আবারও শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে ফাইনালের দুয়ার থেকে ছিটকে গেল বাংলাদেশ। বাজে ব্যাটিং-বোলিংয়ে সেমিফাইনালেই থামলেন সাইফউদ্দিন-ইয়াসির রাব্বিরা।
আজ (রোববার) টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেমিফাইনাল শুরুতে ব্যাট করতে নেমে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১০৩ রানের পুঁজি পেয়েছিল বাংলাদেশ। জবাবে ১ বল হাতে রেখেই ৩ উইকেটের জয়ে ফাইনালে পৌঁছে গেছে শ্রীলঙ্কা।
এর আগে প্রথম সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে ৪ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা নিশ্চিত করেছিল পাকিস্তান। সেমিফাইনালে জয়ী দুই দল মুখোমুখি হবে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে।
টস জিতে শুরুতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাংলাদেশ। ওপেনার জিসান আলম বিধ্বংসী মেজাজে ব্যাট চালালেও অপরপ্রান্তে আরেক ওপেনার আব্দুল্লাহ আল মামুন দ্রুতই বিদায় নেন। এক চার ও দুই ছক্কার মারে ৪ বলে ১৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন এই ওপেনার।
১১ বলে ৩৬ রানে থামেন জিসান। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল একটি চার ও পাঁচটি ছক্কার মারে। দুই ওপেনারের বিদায়ের পর সাইফউদ্দিন ইনিংস বড় করার চেষ্টায় ছিলেন। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকা এই ব্যাটারের ইনিংসটা যদিও ঠিক ম্যাচের সুলভ ছিল না। ১২ বলে ২৩ রান করেছেন তিনি।
অন্য প্রান্তের ব্যাটাররা ছিলেন আসা-যাওয়ার মিছিলে। ইয়াসির আলী রাব্বি চৌধুরী গোল্ডেন ডাকের শিকার হয়ে ফিরেছেন। ৬ বলে ১৮ রান করে বিদায় নেন আবু হায়দার রনি। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের ইনিংস থামে ১০৩ রানে।
টার্গেট তাড়ায় শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন লঙ্কান ব্যাটাররা। সাইফউদ্দিনের করা ইনিংসের প্রথম ওভারেই ২৫ রান তোলে তারা। ৫ চার হাঁকান ওপেনার স্যান্ডুন উইরাক্কোদি। দ্বিতীয় ওভারে সোহাগ গাজী রানবন্যা আটকাতে পারেননি। তিন ছক্কায় তার ওভারে রান উঠেছে ২১।
মাঝে জিসান মাত্র ৪ রান খরচায় দুই উইকেট তুলে নিয়েছিলেন। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে। শেষ ওভারে জয়ের জন্য শ্রীলঙ্কার দরকার ছিল আরও ১৪ রান। এক বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় তারা।
বাজে ব্যাটিংয়ের পর বল হাতেও তেমন প্রতিরোধ গড়তে পারেননি বাংলাদেশের বোলাররা।২ ওভারে ৪৪ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন সাইফউদ্দিন। আবু হায়দার রনি ও সোহাগ গাজীরা এক ওভারে দিয়েছেন ২০ রান করে।