আমি আর হার্দিক এখনো এক পরিবারের অংশ: নাতাশা
পদ্মাটাইমস ডেস্ক : ক্রিকেটার হার্দিক পান্ডিয়ার সঙ্গে দাম্পত্যে ইতি টেনেছেন সার্বিয়ান মডেল নাতাশা স্তানকোভিচ। বিচ্ছেদ ঘোষণার পরই ছেলেকে নিয়ে সার্বিয়া উড়ে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কিছু দিন থাকার পর তিনি আবার কাজের জন্য ফিরে আসেন ভারতে। ইতোমধ্যে একটি মিউজিক ভিডিওর কাজ সেরে ফেলেছেন নাতাশা। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নাতাশা বলেছেন, তিনি আর সার্বিয়া যাচ্ছেন না। এই দেশেই থাকছেন। হার্দিকের সঙ্গে বিচ্ছেদের পরবর্তী অধ্যায় নিয়েও কথা বলেন এ মডেল।
খুব সাদামাটা জীবনযাপন করতে চান নাতাশা। নিজের জীবনও ব্যক্তিগত রাখতে চান তিনি। নাতাশা বলেন, আমি যে পেশা বেছে নিয়েছি, সেখানে প্রচারের আলো এড়িয়ে চলা যায় না। তবে আমাকে নিয়ে মানুষের কোনো ধারণা আমাকে প্রভাবিত করতে পারে না। তিনি বলেন, আমি জানি, আমি কী কী করেছি, কতটা করেছি বা কোথা থেকে এসেছি। তাই কোনো কিছুই আমাকে নাড়িয়ে দিতে পারে না। বলা ভালো- কেউ-ই আমাকে নাড়িয়ে দিতে পারে না।
নাতাশা বলেন, ছেলে অগস্ত্যের জন্য হার্দিকের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে। দুজনে মিলেই ছেলেকে বড় করছেন তারা। সার্বিয়ান এ মডেল বলেন, অনেকেই বলছিলেন- আমি সার্বিয়ায় ফিরে যাচ্ছি। কিন্তু আমি কীভাবে যাব? আমার বাচ্চাটা রয়েছে। ওর স্কুল এখানে। তাই কোনো উপায় নেই যাওয়ার। ওকে (অগস্ত্য) এখানে থাকতেই হবে। দিনের শেষে ওর পরিবার তো এখানেই। তিনি বলেন, এখনো আমি এবং হার্দিক একটাই পরিবার। আমাদের তো সন্তান রয়েছে। সন্তানের জন্যই দিনের শেষে আমরা একটা পরিবারেরই অংশ। অগস্ত্যের বাবা ও মা দুজনকেই প্রয়োজন।
হার্দিকের সঙ্গে বিয়ের পর কাজ থেকে দূরে সরে গিয়েছিলেন নাতাশা। সেই জন্য এখন আক্ষেপ হয় তার। সে জন্যই ফের নিজেকে কাজে ব্যস্ত করতে ওঠেপড়ে লেগেছেন তিনি।
এদিকে নাতাশা ভারতে ফিরে আসার পর তার সবসময়ের সঙ্গী হয়ে উঠেছেন শরীর চর্চার প্রশিক্ষক আলেকজান্ডার আলেক্স। কখনো শরীর চর্চাকেন্দ্র থেকে একসঙ্গে বেরোনোর সময়ে ফটোসাংবাদিকদের ক্যামেরায় ধরা পড়েন তারা, আবার কখনো সুইমিংপুলে একসঙ্গে জলকেলিতে মাতছেন, সে ছবিও দেখা যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এবার দেখা গেল পেটিকোট আর শাড়িতে। নাতাশা আর আলেক্স তারা নিজেদের খুব ভালো বন্ধু বলেই পরিচয় দেন। তাই এবার প্রিয় বান্ধবীকে ক্যামেরার সামনে শাড়ি পরিয়ে দিলেন আলেকজান্ডার আলেক্স।
শাড়ি পরানোর আগে নাতাশার পেটিকোটটিও নিজ হাতে সেলাই করে দিয়েছেন আলেকজান্ডার। তারপর নিজ হাতে নাতাশাকে পরিয়েছেন শাড়ি। যদিও শাড়ি পরানোর ধরন দেখে বোঝা যায়, আলেকজান্ডার নিজেও খুব একটা পটু নন। বান্ধবীকে শাড়ি পরানোর ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করেছেন আলেকজান্ডার নিজেই। সেখানে ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন-আমার এবার থেকে দর্জির কাজ ও শাড়ি পরানোর কাজ করা উচিত।
উল্লেখ্য, বিচ্ছেদ ঘোষণা করে নাতাশা ও হার্দিক লিখেছিলেন- চার বছর একসঙ্গে থাকার পর হার্দিক এবং আমি আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। একসঙ্গে থাকার সব রকম চেষ্টা আমরা করেছিলাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমরা একসঙ্গেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি আলাদা হওয়ার। এটিই আমাদের জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত। তবে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া খুবই কঠিন ছিল। আমরা একটা পরিবার তৈরি করেছিলাম। একসঙ্গে বহু আনন্দের সময় কাটিয়েছি আমরা।