ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই: প্রধান উপদেষ্টা
পদ্মাটাইমস ডেস্ক : অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে অর্জিত রাষ্ট্র পুনর্গঠনের সুযোগ কাজে লাগাতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ অন্তর্বর্তী সরকার।
বৃহস্পতিবার ঢাকা সেনানিবাসের আর্মি মাল্টিপারপাস হলে খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ কথা জানান তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ছাত্র-জনতার সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত নতুন বাংলাদেশে আমাদের সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়তে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ, আহত এবং জীবিত ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই। তারা যে সুযোগ আমাদের তৈরি করে দিয়েছে, তার মাধ্যমে বাংলাদেশকে পৃথিবীর সামনে দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দেশে পরিণত করতে আমরা শপথ নিয়েছি।
ড. ইউনূস বলেন, নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সব মানুষকে একটি বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা। পরিবারে মতভেদ থাকবে, বাকবিতণ্ডা হবে, কিন্তু আমরা কেউ কারও শত্রু হবো না। কাউকে তার মতের জন্য শত্রু মনে করব না। কাউকে ধর্মের কারণে শত্রু মনে করব না। আমরা সবাই সমান।
বৈষম্যহীন ও শোষণমুক্ত দেশ গঠনের অঙ্গীকার ব্যক্ত করে তিনি বলেন, কেউ কারও ওপরে না এবং কেউ কারও নিচে না- এই ধারণা আমরা জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। বৈষম্যহীন, শোষণহীন, কল্যাণময় এবং মুক্ত বাতাসের রাষ্ট্রের যে স্বপ্ন নিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীন করেছিলেন, আমি তাদের সেই স্বপ্ন পূরণে অঙ্গীকারাবদ্ধ।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে মানবিক ও কল্যাণকর রাষ্ট্র হিসেবে সমাদৃত। আমরা সব রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রাখবো। আমাদের পররাষ্ট্রনীতির ভিত্তি পারস্পরিক সম্মান, আস্থা, বিশ্বাস ও সহযোগিতা। জলবায়ু সংকট মোকাবিলা এবং বৈশ্বিক শান্তি ও অর্থনীতি সুসংহত করতে আমাদের একত্রে কাজ করতে হবে।
ড. ইউনূস বলেন, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। তরুণ সমাজ যেন সম্পদের সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও মেধার ভিত্তিতে নিজ নিজ সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটিয়ে দেশ গঠনে অবদান রাখতে পারে সেই পরিবেশ আমাদের নিশ্চিত করতে হবে।