কচুয়ায় বিধবা নারীর বাড়িঘরে হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগ

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৮, ২০২৪; সময়: ৭:৪৫ অপরাহ্ণ |
কচুয়ায় বিধবা নারীর বাড়িঘরে হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, কচুয়া : চাঁদপুরের কচুয়ার সফিবাদ গ্রামে এক বিধবা নারীর বাড়িঘরে হামলা ও ভাংচুর এবং শীলতাহানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার মৃত. ইবরাহীম ফকিরের স্ত্রী রুজিনা বেগম বাদী হয়ে প্রতিপক্ষ মোহাম্মদ আলী, নুরুন্নাহার বেগম, কুহিনুর বেগম ও পারভিন বেগমকে অভিযুক্ত করে কচুয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

বাদীর অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, তার স্বামী ইব্রাহীম ফকির লিবিয়ায় দালালের খপ্পরে পরে দীর্ঘদিন আটকে থেকে ২০২৪ সালের ১৮ই জানুয়ারী মারা যায়। পরবর্তিতে তার স্বামীকে নিজ দেশে এনে দাফন করা হয়। স্বামীর অবর্তমানে রুজিনা বেগম তার ৩ ছেলে-মেয়ে নিয়ে গ্রাম ও সমাজবাসীর সার্বিক সহযোগীতায় বসবাস করছে। তিনি আরো জানান, আমার স্বামী প্রবাসে মারা যাওয়ার পর অবুঝ ৩ ছেলে-মেয়ের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে সফিবাদ আল ফালাহ সামাজিক সংগঠন উদ্যোগ নিয়ে প্রবাসী এবং দেশের মানুষের আর্থিক সহায়তায় একটি নতুন ঘর নির্মান করে দেন। ওই ঘরে আমি ছেলে-মেয়েদের নিয়ে খুবই কষ্টে দিন কাটাচ্ছি। কিন্তু বর্তমানে আমার ভাসুর সম্পর্কে মোহাম্মদ আলী সম্প্রতি আমার পাকঘর ও টিউবওয়েল সরিয়ে নিতে বাধা দেন। এক পর্যায়ে মোহাম্মদ আলী বহিরাগত লোকজন এনে আমার পাকঘরসহ বিভিন্ন স্থাপনা ভাংচুর করে এবং আমাকে মারধর করে আমাকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করার হুমকি-ধামকি প্রদান করে। আমি আমার অসহায় ৩ ছেলে-মেয়ে নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। আমি প্রশাসনসহ এলাকাবাসীর সহযোগীতা চাই।

স্থানীয় অধিবাসী মুসলেম মিয়া জানান, ইব্রাহীম মারা যাওয়ার আগ থেকেই এই স্থানে ঘর নির্মান করে বসবাস করছেন। কিন্তু বর্তমানে মোহাম্মদ আলী প্রভাব খাটিয়ে বিধবার স্ত্রী-সন্তানদেরকে উচ্ছেদের চেষ্টা করছে। গ্রামবাসী বাধা দিলে উল্টো তাদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। বর্তমানে ইব্রাহীমের বউয়ের করা একটি মানব প্রচার ও হত্যা মামলা চলমান রয়েছে। সরজমিনে খবর নিয়ে জানা যায়, উক্ত মামলার বিবাদীগনের সহায়তাকারী হলো মৃত ইব্রাহীমের বাবার প্রথম সংসারের বড় ভাই মাওলানা মোহাম্মদ আলী। উক্ত মামলা পিবিআই চাঁদপুর তদন্ত করছেন। রুজিনা বেগম উক্ত ঘটনায় এলাকাবাসী,বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন,কচুয়া থানা এবং পিবিআই চাঁদপুরের নিকট আইনি সহায়তা এবং সন্তানসহ নিজের স্বাভাবিক জীবন-যাপনের নিরাপওা চেয়েছেন। পাশাপাশি হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।

কচুয়া থানার ওসি এম আব্দুল হালিম জানান, হামলা ও ভাংচুরের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত অনুযায়ী পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে