শীত আসলেই ব্রণ, সমাধান কী?
পদ্মাটাইমস ডেস্ক : শীতের সময় অনেকেরই বাড়তে শুরু করে ব্রণের সমস্যা। ব্রণ ও একনির সমস্যা রুক্ষ্ম ত্বককে আরও মলিন করে তোলে। শীতের বাতাসে ধুলোবালি ও খুশকির কারণেও অনেকের ভুগতে হয় ব্রণের সমস্যায়। এমন পরিস্থিতিতে কিছু উপায় অবশ্যই মেনে চলতে পারেন এই শীতে।
যাদের আগে থেকেই খুশকির সমস্যা রয়েছে তাদের শীতের সময় ব্রণের সমস্যা বাড়তে শুরু করে। সিজনাল খুশকিও অনেকের মুখের ত্বকে ব্রণের কারণ হয়ে ওঠে। ব্রণ একদিকে যেমন ত্বকের ক্ষতি করে অন্যদিকে চেহারার সৌন্দর্যও অনেকটা কমিয়ে দেয়। সেই সঙ্গে আত্মবিশ্বাসও অনেকটা কমিয়ে দেয় এই ‘ব্রণ’ এবং ব্রণের দাগ।
বিশেষজ্ঞরা ব্রণ সমস্যা দূর করতে কিছু বিশেষ খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন। ডায়েট লিস্টে সেগুলো প্রাধান্য দিলেই ত্বকে ব্রণের সমস্যা দূর হবে আর ফিরে আসবে হারানো গ্লো।
ব্রণ ও এর দাগ দূর করতে ত্বককে ভেতর থেকে সুরক্ষিত রাখতে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করুন। কারণ, আপনার শরীরে পুষ্টি এবং অক্সিজেন বহন করতে পানির গুরুত্ব অপরিসীম। নিয়মিত তিন লিটার পানি পান করার অভ্যাস আপনার অঙ্গগুলোকে পুষ্ট করার পাশাপাশি ব্রণ ও একনির বিরুদ্ধে লড়াই করে।
লেবুর রস অ্যাসিড বর্জ্য দূর করতে এবং লিভারকে সাইট্রিক অ্যাসিড দিয়ে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। রক্তের বিষাক্ত পদার্থ দূর করে এনজাইম তৈরি করতে সহায়তা করে, যা আপনার ত্বককে সতেজ ও উজ্জ্বল রাখে।
ত্বকের দাগ দূর করতে তরমুজ খুবই উপকারী। এটি ভিটামিন এ, বি এবং সি সমৃদ্ধ তরমুজ ত্বককে সতেজ, উজ্জ্বল ও হাইড্রেটেড রাখে। এটি ত্বকে ব্রণ হওয়ার প্রবণতা রোধ করে এবং ব্রণের দাগও দূর করে।
‘ব্রণ’ প্রতিরোধে প্রতিদিন দই খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। দইয়ে অ্যান্টিফাঙাল এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ থাকায় এটি ত্বক পরিষ্কার করতে এবং ত্বকের আটকে থাকা ছিদ্রগুলোকে অবরুদ্ধ করতে কার্যকর।
নিয়মিত আখরোট খাওয়া ত্বকের মসৃণতা ও কোমলতা বাড়াতে সাহায্য করে। আখরোটের তেলে লিনোলিক অ্যাসিড থাকে, যা ত্বকের গঠন বজায় রাখতে সাহায্য করে। এটি ত্বককে ভালো হাইড্রেটেড রাখে।
ত্বকের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান সেলেনিয়াম বাদামজাতীয় খাবার থেকে আসে। গবেষণা দেখা গেছে, ত্বকে সেলেনিয়ামের মাত্রা বেশি হলে সূর্যের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার মাত্রা কমে যায়।
আপেলে প্রচুর পেকটিন থাকে যা ব্রণের শত্রু বলে গণ্য। তাই ত্বককে ভালো আর ব্রণমুক্ত রাখতে নিয়মিত আপেল খান।
কম চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত পণ্যে ভিটামিন ‘এ’ থাকে, যা স্বাস্থ্যকর ত্বকের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তাই ত্বককে ব্রণমুক্ত করতে প্রতিদিনের ডায়েটে ভিটামিন ‘এ’ যুক্ত খাবারের পাশাপাশি অয়েলি ও ভাজাপোড়া খাবার এড়িয়ে চলুন।
নিয়মিত খেতে পারেন করলা। তিতাজাতীয় খাবার খাওয়ার অভ্যাসেও ত্বকে সহজে ব্রণ হওয়ার শঙ্কা থাকে না।
এসব খাবারের পাশাপাশি ব্রণ আক্রান্ত স্থানে মাখুন নিমপাতার পেস্ট। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী, ব্রণ থেকে মুক্তি পেতে ব্যবহার করতে পারেন অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম। ব্রণ দূর হওয়ার পর ব্রণের কালো দাগ থেকে মুক্তি পেতে সে স্থানে নিয়মিত নারিকেল তেল ম্যাসাজ করতে পারেন। দেখবেন, ধীরে ধীরে হালকা হতে শুরু করেছে ব্রণের দাগ।