১১ জনকে দিয়ে বোলিং করিয়ে দিল্লির ইতিহাস
পদ্মাটাইমস ডেস্ক : একটা ম্যাচে কতজন বোলিং করেন? ৫ জন? ৬ জন? ৭ জন? সর্বোচ্চ ১০ জন? ক্রিকেটের তুখোড় ফ্যান হলেও ১০ জনের বোলিং দেখা অনেকটা অসম্ভবের কাতারে। কারণ এমন ঘটনা যে বিরল।
নারী ও পুরুষদের ক্রিকেটে প্রথম শ্রেণি ও লিস্ট ওয়ানডে মিলিয়ে মোটে মাত্র দুটি ম্যাচে ১০ জনের বোলিং করার ঘটনা ঘটেছে। দুটিই নারীদের ক্রিকেটে; চলতি বছরের জুনে অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে ১০ বোলার ব্যবহার করেছিল চেক প্রজাতন্ত্র, সেপ্টেম্বরে মাল্টার বিপক্ষে ইতালি। নারীদের টি-টোয়েন্টিতে ৯ জন বোলারের বল করার ঘটনা আছে ১৮টি।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফিতে মনিপুরের বিপক্ষে ১১ বোলার ব্যবহার করল দিল্লি। এটা ইতিহাস। পুরুষদের টি-টোয়েন্টিতে এর আগে ১০ বোলারই ব্যবহার হয়নি। সর্বোচ্চ ৯ জন করে বল করার ঘটনা আছে ৩২টি, মুশতাক আলী ট্রফিতেই ৩টি।
মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে দিল্লির অধিনায়ক আয়ুশ বাদোনি বল তুলে দিয়েছেন সবার হাতে। সর্বোচ্চ ৩টি করে ওভার করেছেন হার্শ ত্যাগি, দিগভেস রাথি ও মায়াঙ্ক রাওয়াত। বাদোনি নিজে বল হাতে নিয়ে ২ ওভার করে ৮ রানে নিয়েছেন ১ উইকেট। উইকেটরক্ষক অনুজ রাওয়াতের হাতেও বল দিয়েছেন তিনি। রাওয়াত ১ ওভারে খরচ করেন ১৪ রান। বাকিদের মধ্যে আয়ুশ সিং ২, আখিল চৌধুরী ২, আরিয়ান রানা ১, হিম্মত সিং ১, প্রিয়াংশ আরিয়া ১ ও ইয়াশ ধুল ১ ওভার করেন।
দিল্লির ১১ বোলারের বিপক্ষে ৮ উইকেটে ১২০ রান করে মনিপুর। আহমেদ শাহ ৩২, রেক্স রাজকুমার ২৩, উলেনেয়াই ১৯ ও কিশান সিংহা ১৪ রান করেন। জবাবে ৯ বল হাতে রেখে ৪ উইকেটে জয় পায় দিল্লি।