পঞ্চাশের বেশি বয়সীরা উচ্চ ঝুঁকিতে
পদ্মাটাইমস ডেস্ক : পঞ্চাশের বেশি বয়সীরা রয়েছেন করোনার উচ্চ ঝুঁকিতে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষণা বলছে, বিশ্বব্যাপী নানা রোগে ভুগতে থাকা পঞ্চাশের বেশি বয়সীরাই মৃত্যুর শিকার হয়েছেন করোনায়। তাই দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা হাতে গোনা হলেও বয়স্কদের এখন থেকেই সতর্ক থাকার পরামর্শ চিকিৎসকদের। সংক্রমণ এড়াতে জনসমাগম এড়ানোর পাশাপাশি প্রতিটি পরিবারেই বয়স্কদের সুরক্ষার তাগিদ জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের।
চীনে করোনায় আক্রান্ত ৭২ হাজার মানুষের ওপর গবেষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। গত মাসে করা ঐ গবেষণা বলছে, করোনায় মৃত্যু হওয়া ৯৬ শতাংশের বয়স ৫০ বছরের ওপরে। যাদের ১৩ দশমিক ২ শতাংশ হৃদরোগে, ৯ দশমিক ২ শতাংশ ডায়াবেটিসে, ৮ দশমিক ৪ শতাংশ উচ্চরক্তচাপে, ৮ শতাংশ শ্বাসকষ্টজনিত রোগ এবং ৭ দশমিক ৬ শতাংশ আগে থেকেই ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন।
চিকিৎসকরা বলছেন, অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও করোনার উচ্চ ঝুঁকিতে আছেন বয়স্করা। এ জন্য পঞ্চাশের বেশি বয়সীদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের।
বিএসএমএমইউ এর ভাইরোলজিস্ট ও সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, বাড়ির বাইরে বয়স্কদের না যাওয়াই ভালো। কারণ তারা কম বয়স্কদের চেয়ে আক্রান্ত বেশি হয়। তবে বিশেষ করে যারা দীর্ঘদিন থেকে রোগে ভুগছেন এবং যাদের শারীরিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের বেশি সতর্ক থাকার কথা বলছেন চিকিৎসকরা।
বক্ষব্যাধি হাসপাতালের সাবেক অধ্যাপক ডা. রাশিদুল হাসান বলেন, করোনাভাইরাস খুব দ্রুতই ছড়ায়। কাজেই যদি কারো ঠান্ডা জ্বর হয়, তার থেকে বয়স্ক মানুষকে আলাদা রাখি।
গবেষণা বলছে, ৫০ বছরের নিচে চীনে মৃত্যুর সংখ্যা ০ দশমিক ২ শতাংশেরও নিচে। তাই অতিরিক্ত সতর্কতা হিসেবে বাইরে থেকে ঘরে ফেরা পরিবারের সদস্যদের হাত মুখ পরিষ্কার করে বয়োবৃদ্ধদের সঙ্গে দেখা করার আহ্বান বিশেষজ্ঞদের।