মধ্যরাতে ‘বহিরাগতদের’ হামলা, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে মারামারি
পদ্মাটাইমস ডেস্ক : মধ্যরাতে ‘বহিরাগতদের’ হামলার পর শিক্ষার্থীরা মারামারিতে জড়ালে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে সংর্ঘষের ঘটনা ঘটেছে; যাতে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী।
পরে রাত ২টার দিকে সেনাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ক্যাম্পাসে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এ ঘটনার পর বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ছাত্রদলের কমিটি কেন্দ্রীয়ভাবে স্থগিত করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক শিক্ষার্থী বলছেন, সিলেট নগরীর আলুরটোল রোডে অবস্থিত এই কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে লাগানো পোস্টার ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে মাঝরাতে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।
রাত ২টার দিকে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মোজাম্মেল হক বলেন, “ক্যাম্পাসে ছাত্রদল, ছাত্রলীগের ছেলেদের সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ‘হালকা মারামারি’ হয়েছে। মূলত ব্যানার টাঙানো নিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে ক্যাম্পাসে সেনাবাহিনী এসেছে; পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ ঘটনায় কয়েকজন শিক্ষাথী সামান্য আহত হয়েছে।”
নাম প্রকাশ না করে একাধিক শিক্ষার্থীর অভিযোগ, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার পর বহিরাগতরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা উস্কানিমূলক আচরণ করলে মারামারির সূত্রপাত ঘটে। তবে হামলা-পাল্টা হামলার এক ঘণ্টা চললেও তা বন্ধ করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।
“কৃষি গুচ্ছ ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ে শাখা ছাত্রদল ক্যাম্পাসের প্রধান দুটি ফটকে তাদের দলীয় ব্যানার টাঙায়। পরে কে বা কারা ব্যানার-পোস্টার ছিড়লে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মারামারি বেঁধে যায়। ”
প্রক্টর অধ্যাপক মোজাম্মেল প্রথমে সাংবাদিকদের বলেন,”আমরা পুলিশ প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করেছি। কিন্তু মারামারি হাতের নাগালের বাইরে হওয়ায় তাৎক্ষণাৎ কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছি না।”
এদিকে রাতেই সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রক্টরের পদত্যাগ চেয়ে ক্যাম্পাসের দ্বিতীয় গেইটের সড়ক বরাবর অবস্থান নেন।
পরে সেনাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ক্যাম্পাসে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর রাত ২টার দিকে প্রক্টর ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের অবস্থান করার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, “ওরা সরাসরি আসে না, তবে আড়ালে রয়েছে।”
একাধিক শিক্ষার্থীর দাবি, ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ব্যানার-পোস্টার ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মারামারির ঘটনাটি ঘটেছে। বর্তমানে ছাত্রলীগের কেউ নেই ক্যাম্পাসে।
সিকৃবি ছাত্রদলের কমিটি বাতিল
এদিকে সংঘর্ষের খবরের পরপরই সিকৃবির কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল।
রাত ২টার পর দপ্তর সম্পাদক (সহ-সভাপতি পদমর্যাদা) মো. জাহাঙ্গীর আলেমর পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, “কেন্দ্রীয় সংসদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় বিলুপ্ত ঘোষণা করা হল। শীঘ্রই এই ইউনিটির নতুন কমিটি ঘোষণা করা হবে।”
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির এ সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছেন।