শীতের সন্ধায় সুজানগরে পিঠা বিক্রির ধুম

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৪, ২০২৪; সময়: ৬:৪০ অপরাহ্ণ |
শীতের সন্ধায় সুজানগরে পিঠা বিক্রির ধুম

এম এ আলিম রিপনঃ ঋতু বৈচিত্রের গণনায় বর্তমানে ভোর আর সন্ধ্যায় হালকা হিম ভাব সুজানগর উপজেলার প্রকৃতির বুকে জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। শীত মানেই মন কাড়ে শীতের হরেক রকম মুখরোচক পিঠার স্বাদ। শীত আর পিঠার যেন অন্যরকম মিতালি।

উপজেলা জুড়ে হালকা শীতেই জমে উঠেছে হরেক রকম পিঠার বেচা-কেনা। সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে হিমেল হাওয়ার প্রভাবে বেড়ে যায় শীতের তীব্রতা।

শীতের শুরুতে গোধূলী বেলায় হালকা কুয়াশা নেমে আসতে না আসতেই সুজানগর উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন এলাকায় শীতে পিঠা বানানো আর বেচা-কেনায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন পিঠা ব্যবসায়ীরা। আর সেসব দোকানে পিঠার স্বাদ নিতে ভিড় করছেন ক্রেতারা।

সুজানগর প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আব্দুস শুকুর জানান, পিঠা বাংলার নিজস্ব আদিম আভিজাত্যপূর্ণ ও ঐতিহ্যপূর্ণ খাদ্য। গ্রামাঞ্চলে সাধারণত নতুন ধান তোলার পর থেকেই পিঠা তৈরির আয়োজন করা হয়। শীতে ও পৌষ পার্বণে বাংলার ঘরে ঘরে পিঠা তৈরি করা হয়ে থাকে।

রবিবার বিকেলে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সুজানগর পৌর শহরের প্রধান সড়কসহ বিভিন্ন এলাকায় চলছে ভাপা পিঠা বিক্রির ধুম। ভাপা পিঠার পাশাপাশি বিক্রি করছে চিতয় পিঠাও। বিশেষ করে সকালে ও বিকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত জমে উঠে এসব পিঠা বিক্রি। পিঠা খেতে শিশু-কিশোর, চাকরিজীবী, শিক্ষার্থী সব শ্রেণি-পেশার মানুষই পিঠার দোকানে ভিড় করছে। পুরুষদের পাশাপাশি অনেক নারীও দোকানে পিঠা বিক্রি করছেন।

পিঠা তৈরির বিষয় কথা হয় সুজানগর পৌর শহরের জিয়ো পয়েন্ট মোড়ে বসা সোহেলের সাথে। ৩২ বছর বয়সি এ পিঠা বিক্রেতা জানান, তার বাসা শহরের ভবানীপুর কাঁচারীপাড়া এলাকায়। শীত মৌসুমে পিঠা বিক্রয় করে থাকেন। প্রতিদিন বসেন এ স্থানে। বিক্রয় করেন ভাপা পিঠা।

তিনি আরও জানান, শীত আসতেই দোকানে চাপ অনেক। ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে ব্যস্ত সময় পার হয়। বিকেল থেকে রাত ১০-১১টা পর্যন্ত চলে পিঠা বানানো ও বিক্রি। বেচা-কেনা ভাল হচ্ছে। ১০ টাকা করে ভাপা পিঠা বিক্রয় করা হচ্ছে। শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেলে বিক্রি আরো বেশি হবে বলে মনে করেন ওই বিক্রেতা।

পিঠা খেতে আসা আব্দুল কাদের বলেন, সব ধরনের ক্রেতাদের এখানে পিঠা খেতে আসে। আবার কেউ কেউ বাড়িতে ছেলে-মেয়েদের জন্য পিঠা কিনে নিয়ে যায়। তিনি বলেন, ছোট বেলায় ভাপা পিঠার অন্যরকম স্বাদ ছিলো। সেরকম স্বাদ দোকানে পাওয়া যায় না। সেই স্বাদ মিটানোর খানিকটা চেষ্টা করি এখান থেকে পিঠা খেয়ে।

পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে