রাজশাহী সিটি সেন্টারের যাত্রা শুরু
নিজস্ব প্রতিবেদক : নতুন বছরের প্রথম দিন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সিটি সেন্টারের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছে। বুধবার দুপুরে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ফিতা কেটে এ মার্কেটের উদ্বোধন করেন। প্রাথমিক অবস্থায় সোনাদীঘি মার্কেটের ব্যবসায়ীদের সিটি সেন্টারের প্রথম তলায় দোকানঘর বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে।
একইসাথে সোনাদীঘি মার্কেট ভেঙে জায়গাটি উন্মুক্ত করার কাজ চলছে। পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্মিত ১৬ তলা ভবন সিটি সেন্টার আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করল। রাজশাহীবাসীর বহু প্রতীক্ষিত সিটি সেন্টার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মধ্যে দিয়ে সিটি কর্পোরেশনের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে।
উদ্বোধনকালে মেয়র বলেন, ঐহিত্যবাহী সোনাদিঘী পাড়ে পুরাতন নগরভবনে নির্মিত সিটি সেন্টার রাজশাহীর সবচেয়ে চমৎকার আধুনিক বিপনী কেন্দ্র। যা রাজশাহীর মধ্যে সবচেয়ে আধুনিক সুযোগ-সুবিধার মার্কেটে পরিণত হবে। তিনি বলেন, পুরাতন সকল স্থাপনা সরিয়ে সোনাদিঘীকে উন্মুক্ত করা হবে। দিঘীপাড়ে বসার স্থান নির্মাণ করা হবে। দিঘীকে সংস্কার করে স্বচ্ছ পানির ব্যবস্থা করা হবে। সোনাদিঘী ফিরে পাবে তার নিজস্ব স্বকীয়তা। সোনাদিঘী জামে মসজিদের নতুন অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে। সোনাদিঘী মার্কেটের ব্যবসায়ীদের সিটি সেন্টারের প্রথম তলায় পূণর্বাসন করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সোনাদিঘী মার্কেটের অন্যান্য ব্যবসায়ীদের পূর্নবাসন করা হবে।
উদ্বোধনকালে রাসিকের প্যানেল মেয়র-১ ও ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সরিফুল ইসলাম বাবু, ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রেজাউন নবী দুদু, ১১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রবিউল ইসলাম তজু, ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মোমিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন প্রামানিক, প্রফেসর আমিনুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আশরাফুল হক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খন্দকার খায়রুল বাশার, রাজস্ব কর্মকর্তা আবু সালেহ মোঃ নূর-ঈ-সাঈদ, এনা প্রোপার্টিজ এর রিজিওনাল ডাইরেক্টর সারোয়ার হোসেন, সম্পত্তি কর্মকর্তা মতিউর রহমান ডালিম, মার্কেটের ব্যবসায়ী খন্দকার আব্দুল মান্নান, আনোয়ারুল হক, রাজিব হোসেন, মনিরুজ্জামান বাবুল প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে সিটি মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনের উদ্যোগে সিটি সেন্টারের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। পরবর্তীতে দীর্ঘদিন নির্মাণ কাজ বন্ধ ছিল। সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৫ অক্টোর দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণের পর সিটি সেন্টারের নির্মাণ কাজ শেষ করার উদ্যোগ নেন মেয়র। এর ফলশ্রুতিতে বহুতল এই ভবনটি আলোর মুখ দেখলো।