রাবিতে ফেল করেও পরিক্ষার্থীকে ভর্তির সুযোগ দেয়ার অভিযোগ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, রাবি : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়া সত্ত্বেও এক পরীক্ষার্থীকে ভর্তি সুযোগ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও বিশেষ অনুমতিতে আরও দুই ভর্তিচ্ছুকে ভর্তির সুযোগ দেয়া হয়েছে যাদের সাবজেক্ট চয়েসের যোগ্যতাও ছিল না বলে বলে অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে তাদের তালিকা প্রকাশ করা হয়।
অকৃতকার্য হয়েও ভর্তির সুযোগ পাওয়া ওই শিক্ষার্থীর নাম মোছা. নার্গিস খাতুন। তিনি ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে অনুষ্ঠিত ভর্তি পরীক্ষায় ব্যবসায় অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটে পরীক্ষা দিয়েছিলেন। তার রোল নম্বর ১৩৬৭২। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, তিনি এমসিকিউতে পেয়েছেন ২১ নম্বর। কিন্তু এই নম্বর দিয়ে মোট আসনের বিপরীতে দশগুন শিক্ষার্থীর তালিকায় না থাকায় তার লিখিত পরীক্ষার খাতা মুল্যায়ন করা হয় নি। কিন্তু ৩১ ডিসেম্বর প্রকাশিত বিশেষ অনুমতির তালিকায় তাকে হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগে ভর্তি সুযোগ দেয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রধান সমন্বয়ক অধ্যাপক একে শামসুদ্দোহা বলেন, আমরা ওই শিক্ষার্থীর একাডেমিক বিষয়টি খেয়াল করিনি। সে অনুর্ধ্ব ১৯ জাতীয় ফুটবল দলের হয়ে অনেক ম্যাচ খেলেছে। সে ক্রীড়াঙ্গনে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য সুনাম নিয়ে আসবেন। তাই বি ইউনিটে ভর্তির সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের খেলোয়াড়দের জন্য আলাদা করে ১০% আসন বরাদ্দ রয়েছে। এমন অবস্থায় ব্যবসায় অনুষদে ভর্তি কেন এমন প্রশ্নে অধ্যাপক শামসুদ্দোহা বলেন, শিক্ষার্থী পছন্দেরও বিষয় রয়েছে। এছাড়া ক্রীড়া বিজ্ঞান সি ইউনিটের। ওই শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছে বি ইউনিটে।
বিশেষ অনুমতিতে ভর্তির জন্য প্রকাশিত তালিকায় আরও দুই শিক্ষার্থীর নাম প্রকাশ করা হয়েছে। এদের মধ্যে মো. আশিকুর রহমান আশিক নামে এক শিক্ষার্থীকে মার্কেটিং বিভাগে ভর্তি সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তিনি ভর্তি পরীক্ষায় ৪১.৫ নম্বর পেয়ে কৃতকার্য হয়। তার মেধাক্রম ছিল ৩৮৮৩। তিনি সাবজেক্ট চয়েসের জন্য যোগ্যছিল না। এছাড়া রিন্টু তানচাঙ্গায় নামে আরেক শিক্ষার্থীকে ভর্তি সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তিনি ভর্তি পরীক্ষায় ৪৯ নম্বর পেয়ে মেধাক্রম অনুসারে ২৪১৯তম হয়েছিল। তিনিও সাবজেক্ট চয়েসের জন্য যোগ্যছিল না।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক শামসুদ্দোহা বলেন, রিন্টু একজন উপজাতি। সে পরীক্ষায় ভাল করেছে, মেধাক্রমও ভাল। কিন্তু আবেদনের সময় ভুলবশত উপজাতি কোটার ঘরটি পূরণ করতে পারে নি। তাই সুযোগ দেয়া হয়েছে। তবে আশিকুরের ব্যাপারে তিনি মন্তব্য করেননি।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ২১ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের বি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৫৬০ আসনের বিপরীতে ১৫ হাজার সাতশত বত্রিশজন শিক্ষার্থী আবেদন করে।