পচা পেঁয়াজ বিক্রি করতে গিয়ে বিপদে টিসিবি’র ডিলাররা
পদ্মাটাইমস ডেস্ক : পচা পেঁয়াজ বিক্রি করতে গিয়ে বিপদে পড়েছেন টিসিবি’র ডিলাররা। এতে ক্রেতাদের গালমন্দের শিকারও হতে হচ্ছে তাদের। জানা গেছে, সঠিকভাবে সংরক্ষণ ও মজুদ না করায় বরিশালে টিসিবির (ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ) ২০ টন পেঁয়াজ গুদামেই নষ্ট হয়ে গেছে। আর এ পচা পেঁয়াজ তুলে চরম বিপাকে পড়েছেন টিসিবির ডিলাররা। বিক্রি করতে না পারায় এসব পেঁয়াজ বাধ্য হয়ে তাদের ফেলে দিতে হচ্ছে, গুনতে হচ্ছে লোকসান।
দফায় দফায় দাম বৃদ্ধির কারণে গত ২০ নভেম্বর থেকে বরিশালে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করে টিসিবি। দুই ধাপে বিক্রি করা হয় মোট ৬০০ টন পেঁয়াজ। প্রথমে প্রতি ডিলারকে বিক্রির জন্য পেঁয়াজ দেয়া হয় এক হাজার কেজি করে। পরবর্তী সময়ে তা বৃদ্ধি করে তিন হাজার কেজি করা হয়। প্রথমে সাধারণ মানুষ প্রতি কেজি পেঁয়াজ টিসিবির ডিলারদের কাছ থেকে ৪৫ টাকায় কিনতে পেরেছিলেন। এরপর তা ৪০ টাকা ও বর্তমানে ৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে বর্তমানে বিক্রির জন্য যে পেঁয়াজ ডিলাররা উত্তোলন করেছেন তার অধিকাংশই পচা। ফলে ৩৫ টাকা কেজি দরেও তা বিক্রি করা যাচ্ছে না। এরই মধ্যে গতকাল নতুন করে বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেছে। প্রতি কেজি দেশী পেঁয়াজের দাম নেয়া হয়েছে ১৮০ টাকা পর্যন্ত। এ অবস্থায় চাহিদা থাকা সত্ত্বেও পেঁয়াজ বিক্রি করতে পারবেন না বলে আশঙ্কা করছেন ডিলাররা।
বরিশালের টিসিবির ডিলার মোল্লা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. শাহিন বলেন, পচা পেঁয়াজ বিক্রি করতে গিয়ে ক্রেতা কর্তৃক হেনস্তার শিকার হতে হচ্ছে। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার তিনি পচা পেঁয়াজ বিক্রি করতে না পেরে বাধ্য হয়ে ফেলে দিয়েছেন। এতে করে তার বিপুল টাকা লোকসান গুনতে হয়েছে। কিন্তু টিসিবি কর্তৃপক্ষ কোনো দায় নিচ্ছে না।
আরো কয়েকজন ডিলার অভিযোগ করেন, যথাযথভাবে সংরক্ষণ না করার কারণে গুদামেই পেঁয়াজ নষ্ট হচ্ছে। আর বস্তাবন্দি এ পেঁয়াজ তাদের ধরিয়ে দেয়া হচ্ছে। বিক্রির সময় দেখা যাচ্ছে, পচা পেঁয়াজের সঙ্গে রাখা ভালো পেঁয়াজও নষ্ট হয়ে গেছে। গত বৃহস্পতিবার বরিশালের সাতজন ডিলার ২১ টন পেঁয়াজ তুলেছিলেন। এর মধ্যে দুজনই প্রায় এক হাজার কেজি পচা পেঁয়াজ ফেলে দিয়েছেন।