ঢাবিতে ছাত্রদলের সমাবেশের পাশে ককটেল হামলা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৫, ২০২০; সময়: ১:২৬ অপরাহ্ণ |

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ককটেল বিষ্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে রোববার সকালে ছাত্রদলের সমাবেশ চলাকালে এই ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনায় কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

জানা যায়, রোববার সকালে মধুর ক্যান্টিন থেকে ছাত্রদলের তিন শতাধিক নেতাকর্মী ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। বিক্ষোভ মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এসে মিলিত হয়। ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা জ্বর হওয়ার পরপরই বেলা এগারোটার দিকে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। একই সময়ে ডাকসু ভবন এলাকায় ককটেল বিস্ফোরিত হয় বলে খবর পাওয়া গেছে।

এ নিয়ে চতুর্থ দিনের মতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ককটেল হামলার ঘটনা ঘটলো। প্রথম হামলাটি হয়েছিল গত ২৬ ডিসেম্বর ঐদিন একটি ককটেল অবিস্ফোরিত অবস্থায় পাওয়া যায়। ওই ঘটনার তিন দিনের মাথায় ২৯ শে ডিসেম্বর আবারো ককটেল বিস্ফোরিত হয় মধুর ক্যান্টিন এলাকায়। তার পরের দিন অর্থাৎ ৩০ ডিসেম্বর মধুর ক্যান্টিন সংলগ্ন আইবিএ গেটে তিনটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। এদিন একজন আহত হন। প্রতিটি বিস্ফোরণের পরেই প্রক্টর ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করার ব্যাপারে সাংবাদিকদের আশ্বস্ত করলেও এখনো পর্যন্ত এ ঘটনায় কাউকেই আটক করতে পারেনি প্রশাসন। বাংলাদেশ জানোয়ারের সঙ্গে আলাপকালে প্রক্টর এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার কথা বলেছিলেন। তবে পরবর্তীতে সে বিষয়ে আর কোনো অগ্রগতি লক্ষ্য করা যায়নি। আজ চতুর্থ দফায় হামলার পর বেশ কয়েকবার প্রক্টর গোলাম রাব্বানী কে ফোন করা হলেও তিনি কথা বলেননি।

তবে এ সমস্ত হামলার জন্য ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ছাত্রদলকে দায়ী করছেন। তারা বলছেন ছাত্রদলের পদবঞ্চিতরা তাদের অসন্তোষের জায়গা থেকে এই হামলার ঘটনা ঘটিয়ে ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছেন। তবে ছাত্রদলের পক্ষ থেকে বরাবরই এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। তারা বলছেন ক্যাম্পাসে এ ধরনের হামলা কে ছাত্রদল সমর্থন করে না। বরং কেউ এ ধরনের হামলা ঘটে ছাত্রদলের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করছে। তারা তদন্ত করে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি দাবি করেছেন।

পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে