ওপরের নির্দেশ মানেন না পুঠিয়ার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নাজমা আখতার ক্ষমতার অপব্যবহার ও দাপট দেখিয়ে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ অমান্য করে নার্সিং সুপারভাইজারের শূণ্য পদে সিনিয়র নার্স সাহানা আক্তারীকে যোগদান করতে দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত ৩০ ডিসেম্বর এক আদেশে পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্সিং সুপারভাইজারের শূণ্য পদে সিনিয়র নার্স সাহানা আক্তারীসহ দেশের সাতটি হাসপাতালের ৭জন সিনিয়র নার্সকে নার্সিং সুপারভাইজার পদে পদায়ন করেন নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) খালেদা বেগম।
গত ১ জানুয়ারি রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডা. কাজী মিজানুর রহমান আদেশ পেয়ে সাহানা আক্তারীর যোগদানের পত্রটি গ্রহণ করেন। এরপর থেকে সাহানা আক্তারী প্রতিদিনই নার্সিং সুপারভাইজার পদে যোগদানের জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নাজমা আখতারের কাছে যান। কিন্তু ডা. নাজমা কিছুতেই সাহানাকে তার পদায়নকৃত পদে যোগদান করতে দিচ্ছেন না। এমনকি সাহানার সঙ্গে চরম দুর্ব্যবহার করছেন। তাচ্ছিল্য করে অফিস থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগও রয়েছে ডা. নাজমা আখতারের বিরুদ্ধে।
সাহানা আক্তারী অভিযোগ করেন, নার্সিং সুপারভাইজার পদে পদায়নের জন্য তিনি আবেদন করেছিলেন। কর্তৃপক্ষ তার আবেদন যাচাই বাছাই করে তাকে পদায়ন করেন। বিষয়টি জেলার সিভিল সার্জনও গ্রহণ করেছেন। কিন্তু পুঠিয়ার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নাজমা কিছুতেই গ্রহণ করছেন না। ডা. নাজমা তাদের সহকর্মী সিনিয়র নার্স নাজমা বেগমকে এই পদে যোগদান করাবেন বলে অন্যায়ভাবে তাকে যোগদান করতে দিচ্ছেন না।
সাহানা আক্তারী বলেন, রোববারও তিনি যোগদানের জন্য হাসপাতালে ডা. নাজমার কাছে যান। কিন্তু ডা. নাজমা তাকে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যোগদান করতে দেবেন না। আরেকজন সিনিয়র নার্স নাজমা বেগমের কাছ থেকে অবৈধ সুবিধা নিয়ে তার জন্য তদবির করছেন ডা. নাজমা আখতার।
সাহানা অভিযোগ করেন, পদায়নের আদেশ পাবার পরেও আমি নিয়মিত অফিস করছি। কিন্তু নার্স নাজমা কোন ছুটি ছাড়াই গত মঙ্গলবার থেকে অফিসে নেই। কোথায় গেছে কেউ বলতেও পারছে না। তবে শুনতে পাচ্ছি তিনি এখন পদায়ন পেতে মন্ত্রনালয়ে আবেদন নিয়ে দৌড়ঝাপ করছেন। এজন্যই ডা. নাজমা আখতার আমাকে যোগদান করতে দিচ্ছেন না।
যোগাযোগ করা হলে এবিষয়ে পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নাজমা আখতার বলেন, সিনিয়র নার্স সাহানা এবং নাজমা দুজনই আবেদন করেছিলেন। কর্তৃপক্ষ সাহানাকে পদায়ন করেছে। কিন্তু নার্স নাজমা একদিন আগে চাকরিতে যোগদান করেছিলেন। এখন যদি রিট করে বা বিভাগীয় মামলা করে তাই ভবিষ্যতের ঝামেলা এড়াতে তাকে নতুন করে পদায়নের আদেশ নিয়ে আসার জন্য সময় দিয়েছি।
প্রশাসনিক জটিলতা এড়াতেই কিছুটা সময় নিচ্ছি। এটা নিয়ে আমি আমার কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় এমপির সাথেও কথা বলেছি। উর্ধ্বতন কর্মকতার নির্দেশ উপেক্ষা করেও নতুন কাউকে পদায়ন করিয়ে আনার জন্য সময় দেয়াটা অনিয়ম বা ক্ষমতার দাপট নয় বলেও তিনি দাবি করেন।