পশ্চিম রেলে পরামর্শকে আটকে গেছে দুই মেগা প্রকল্প

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৬, ২০২০; সময়: ১২:১১ অপরাহ্ণ |
পশ্চিম রেলে পরামর্শকে আটকে গেছে দুই মেগা প্রকল্প

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রকল্প এলাকা, ব্যয়-সবই নির্ধারিত। শুধু পরামর্শক নিয়োগ করতে না পারায় অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে পশ্চিমাঞ্চল রেলের দুটি মেগা প্রকল্প। দুই বছর ধরে প্রকল্প পরামর্শক নিয়োগ করতে না পারায় প্রকল্পটি শুরুই করা যাচ্ছে না।

প্রকল্পগুলো হলো যশোর-বেনাপোল ডাবল লাইন রেল প্রকল্প ও পার্বতীপুর-কাউনিয়া ডুয়েলগেজ রেলওয়ে প্রকল্প। দুটি রেললাইন নির্মাণ হবে বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ অর্থায়নে। আর প্রকল্প দুটিতে ব্যয় ধরা হয়েছে আট হাজার ৬০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে যশোর-বেনাপোল প্রকল্পে ব্যয় হবে প্রায় সাত হাজার কোটি টাকা। পার্বতীপুর-কাউনিয়া ডুয়েলগেজ প্রকল্পে ব্যয় হবে এক হাজার ৬০০ কোটি টাকা।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে সূত্র মতে, প্রকল্প দুটি বাস্তবায়ন হলে এ অঞ্চলের রেল যোগাযোগের অভূতপূর্ব উন্নয়ন হবে। কিন্তু গত দুই বছরেও নানা জটিলতায় পরামর্শক নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হয়নি। এ নিয়ে সম্প্রতি নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ-ভারত ও রেলওয়ে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক হয়েছে। এরপর কিছুটা গতি এসেছে পরামর্শক নিয়োগ প্রক্রিয়ায়। ফলে বাংলাদেশ সরকার নিজ অর্থায়নে নাকি যৌথ অর্থায়নে পরামর্শক নিয়োগ দেবে এটি চূড়ান্ত হয়নি।

প্রকল্প পরিচালক ও পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান প্রকৌশলী মাসউদুর রহমান বলেন, ‘পরামর্শক নিয়োগ হলেই গতি আসবে কাজের। আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা এই কাজটি শেষ করতে পারব। পরামর্শক নিয়োগ প্রক্রিয়াটি জটিল। এই জটিলতা কতটা সহজে এড়ানো যায়, সেসব নিয়ে দিল্লির বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। সে অনুযায়ী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।’

মাসউদুর রহমান জানান, ‘দুটি প্রকল্প বাংলাদেশ-ভারত যৌথ অর্থায়নে হচ্ছে। যার ফলে পরামর্শক নিয়োগে বাংলাদেশ-ভারত দুই দেশেরই মতামত থাকছে। তবে কোনো দেশের অর্থায়নে পরামর্শক নিয়োগ হবে সেটি জরুরি। আমরা সেটি নিয়েই কাজ করছি। আশা করছি দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হবে।’

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে সূত্র মতে, এই অঞ্চলে সাম্প্রতিক সময়ে ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয়ের বড় কারণ রেললাইনের সংকট। প্রতিটি লাইনেই অতিরিক্ত ট্রেনের চাপ থাকায় কয়েক বছর ধরে ব্যাপক হারে সিডিউল বিপর্যয় বেড়েছে। এই সিডিউল বিপর্যয় রোধে একমাত্র উপায় হলো এখন ডাবল লাইন রেলযোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা। সেই লক্ষ্যেই এই প্রকল্প দুটি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে রেল সংশ্লিষ্টরা। সূত্র- বাংলাদেশ প্রতিদিন

পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে