শোনাতে হলে শুনতেও হবে
পদ্মাটাইমস ডেস্ক : নিজের প্রয়োজনের কথা যদি সঙ্গীকে শোনাতে হয় তবে তার কথাও শুনতে হবে মনোযোগ দিয়ে। সব সম্পর্কেই সুন্দর যোগাযোগটা দরকার। আর সেটা যদি হয় প্রেমের বা স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্ক তবে কথাবার্তায় চাই স্বচ্ছতা ও সততা। আবার শুধু নিজের কথাই বললে হবে না, সঙ্গীর কথাও শুনতে হবে মনোযোগ দিয়ে।
নিজের প্রয়োজন খুলে বলুন: খারাপ সম্পর্কের অন্যতম কারণ হল ভুল বোঝাবুঝি। মানসিক ও আবেগিক অনুভূতি প্রকাশিত ব্যর্থ হওয়ায় অনেক সম্পর্কে ভালোবাসার মলিন হয়ে যায়। অনেক সময় মনের আকাঙ্ক্ষা পূরণ না হওয়ায় তা সম্পর্কে মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই নিজে কি চান তা সঙ্গীর কাছে মুখ ফুটে বলে ফেলাই ভালো।
সঙ্গী মন পড়তে পারেনা: আমরা অনেক সময় নানান মৌখিক আচরণের মাধ্যমে গভীর অনুভূতি প্রকাশ করতে চাই। যেমন- রাগ, অসন্তুষ্টি বা আনন্দ। তবে সঙ্গী যে সবসময় তা বুঝতে পারবে এমনটা ধরে নেওয়া ঠিক না। তাই নিজের অনুভূতি মনের মাঝে চেপে না রেখে সঙ্গীর সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেওয়া উচিত।
আগে শুনুন পরে আলোচনা করুন: অনেক সময় সঙ্গীর কথা না শুনে বা তার দিক থেকে চিন্তা না করে কাজ করায় নানান সমস্যা দেখা দেয়। মনে রাখবেন, সম্পর্ক দুজনেরই। তাই যে কোনো বিষয় শুনুন এবং এর পর আলোচনা করুন। যদি মনে করেন, আপনার মনের ভাব প্রকাশ করতে পারছেন না তাহলে সঙ্গীকে বুঝিয়ে বলুন। স্বাস্থ্যকর সম্পর্কের জন্য সুস্থ যোগাযোগ আবশ্যক।
সমস্যার অবসান ঘটানো: এক সঙ্গে থাকতে গেলে নানা বিষয়ে নিয়ে খটমট হতে পারে। এমন ঝামেলা দেখা দিলে রাগ পুষে না রেখে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সমস্যার অবসান ঘটানোর চেষ্টা করতে হবে। ভুল বোঝাবুঝি থেকে অনেক সময় সমস্যা দেখা দেয় এবং মাঝে মাঝে তা বড় আকার ধারণ করতে পারে। তাই দুজনে একসঙ্গে বসে নিজেদের মাঝখানের সমস্যা দূর করার চেষ্টা করতে হবে। তাহলে পরদিন সকাল থেকেই সম্পর্কের উন্নয়ন লক্ষ করতে পারবেন।
একে অপরকে সময় দেওয়া: বর্তমানে ব্যস্ত সময়ে একে অপরের জন্য সময় খুঁজে বের করা বেশ কঠিন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বাসার চেয়ে অফিস ও বাইরে সময় বেশি কাটানো হয়। মনে রাখবেন, সম্পর্ক ভালো রাখার ক্ষেত্রে একে অপরকে সময় দেওয়াটা দরকার। ফোনে কথা বলা বা এসএমএস আদানপ্রদান করা ভালো। তবে তা কোনোভাবেই পাশাপাশি বসে সময় কাটানোর মতো নয়। কোথাও একটু সময় নিয়ে বসে একসঙ্গে কফি খাওয়া, যে কোনো বিষয় নিয়ে আলচনা করা সম্পর্ক ভালো করতে সাহায্য করে।