রাবিতে ১১ হাজার টাকায় কলম কেনার অভিযোগ কাল্পনিক : ড. সামাদি
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, রাবি : সম্প্রতি রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের (রাবি) সাবেক গ্রন্থাগারের বিরুদ্ধে ১১ হাজার টাকায় দুটি কলম কেনাসহ দায়িত্বে থাকাকালীন আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি কয়েকটি অনলাইন সংবাদমাধ্যমে এই সংক্রান্ত খবর প্রকাশিত হলে এ নিয়ে ক্যাম্পাসে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
তবে অভিযুক্ত অধ্যাপক সফিকুন্নবি সামাদি দাবি করেছেন কলম কেনাসহ তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ কাল্পনিক, এসবের কোন অস্তিত্ব নেই। বুধবার দুপুরে বিশ^বিদ্যালয়ের জুবেরী ভবনের এক সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি করেন তিনি।
সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ মিজান উদ্দীনের সময়ে গ্রন্থাগারের উন্নয়নের জন্য ইউজিসি ৩ কোটি ২৯ লাখ ৪১ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়। এসময় গ্রন্থাগারের দায়িত্বে ছিলেন অধ্যাপক ড. সামাদি। অভিযোগ উঠেছে, এই অর্থ দিয়ে তিনি ১১ হাজার টাকায় দুটি কলম, নিজের ব্যবহারের জন্য ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকায় ল্যাপটপ, ট্রেনিংয়ের জন্য ১২ লাখ টাকায় থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ভ্রমণসহ বেশ কিছু আর্থিক অনিয়ম করেছেন।
বুধবার সংবাদ সম্মেলনে ড. সফিকুন্নবী সামাদি বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজের মধ্যে ৫ থেকে সর্বোচ্চ ৫০ টাকার কলম কেনা হয়েছে। গণমাধ্যমে ১১ হাজার টাকা মূল্যে দুটি কলম ক্রয়ের একটি কাল্পনিক গল্প বলা হয়েছে। বস্তুত এ ধরনের কোনো কলম ক্রয় করা হয়নি। তিনি কলম কেনার ভাউচারের কপি প্রতিবেদকদের উপস্থাপনের অনুরোধ করেন।
তিনি দাবি করেন, হেকেপ প্রজেক্ট-৩৬০৭ এর আওতায় যে ব্যয় হয়েছে তা হেকেপ কর্তৃক সরেজমিন পরিদর্শন হয়েছে। এরপর তারা যে প্রতিবেদন দিয়েছেন তাতে কোনো আর্থিক বা প্রক্রিয়াগত কোনো অনিয়মের অভিযোগ তোলা হয়নি। এছাড়াও ল্যাপটপ ক্রয়, বিদেশ ভ্রমণ ও আরএফআইডি ট্যাগের বিষয়ে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সত্য নয়।
ড. সফিকুন্নবী সামাদি বলেন, এর আগে হেকেপের নিয়ম অনুযায়ী প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট কমিটিতে প্রতিটির ব্যয় ও পরিকল্পনা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এছাড়া পরিকল্পনা ও উন্নয়ন পরিচালকের মাধ্যমে উপাচার্যের অনুমোদিত হয়ে ঢাকাস্থ হেকেপ দফতরে গিয়েছে। হেকেপ দফতর কর্তৃক অনুমোদিত হওয়ার পর তা বাস্তবায়িত হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের সভাপতি ড. সুলতান উল ইসলাম, ইংরেজি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এক্রাম উল্লাহ, সাবেক ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।