এসব কী হচ্ছে!
পদ্মাটাইমস ডেস্ক : ইউটিউব চ্যানেলের ব্যবসাকে রমরমা করে তুলতে এক শ্রেণীর তথাকথিত নির্মাতা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের নামে অশ্লীলতাকে বেছে নিচ্ছেন। রগরগে যৌনদৃশ্য সম্বলিত এসব অশ্লীল স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের প্রতি দর্শক আকৃষ্ট হচ্ছে। একটা সময় চলচ্চিত্রে যে অশ্লীলতার যুগ ছিল, এখন তা ইউটিউবে ফিরে এসেছে।
এখানে তথাকথিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র চালাতে কোনো সেন্সর নীতিমালা মানা হচ্ছে না। ফলে দিন দিন ঐ শ্রেণীর নির্মাতারা অভিনেতা-অভিনেত্রী নামের এক শ্রেণীল ছেলে-মেয়েকে দিয়ে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করে দেশীয় সংস্কৃতিকে কলুষিত করছে। একজন ইউটিউবার বলেন, স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রগুলোর জন্য কোনো সেন্সর সনদপত্রের প্রয়োজন হয় না। সেগুলো যেমন খুশি নির্মাণ করা যায়। তাতে যৌন সুরসুরি থাকলেও কোনো সমস্যা থাকে না। আর যৌন সুরসুরির আইটেমে ভিউ বেশী হয় ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেই ইউটিউবার বলেন, বিনিয়োগটা দীর্ঘ মেয়াদে হলেও ফেরত পাওয়া যায়, অন্তত লোকসান দিতে হয় না। এছাড়া স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণের ক্ষেত্রে একটা ‘আঁতেল’ ভাব থাকে, যা নির্মাতারা বুক ফুলিয়ে জাহির করতে পারেন। তবে সুস্থ ধারার স্বল্পদৈর্ঘ্য নির্মাতাও আছেন। তারা সত্যিকার অর্থেই সম্মানের জন্য সেগুলো নির্মাণ করেন। এসব চলচ্চিত্রগুলো সেন্সর ছাড়পত্র নিয়ে চালানো হয়। এখন বিজ্ঞাপনের আধিক্যের কারণে টেলিভিশনের প্রতি দর্শকের আগ্রহ দিন দিন কমে যাচ্ছে।
মানুষের হাতে হাতে এনড্রয়েড মোবাইল থাকায় এমবি খরচ করে ইউটিউবে ঢুকে যাচ্ছে। তারা বিনোদনের জন্য নিজের ইচ্ছামতো বিভিন্ন অনুষ্ঠান দেখতে পারে। বিশেষ করে যৌন সুরসুরির স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের প্রতি অনেকের আগ্রহ বেশি। স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের নির্মাতারাও ভিউয়ার্সদের আগ্রহের সুযোগ নিচ্ছেন।