বদলে যাচ্ছে রাজশাহী বিমানবন্দর
নিজস্ব প্রতিবেদক : দীর্ঘদিন পর আধুনিকতার ছোয়া লাগছে রাজশাহীর শাহ মখদুম বিমানবন্দরে। রানওয়ে সম্প্রসারন থেকে গ্রাউন্ড স্টেশন আধুনিকরনের মধ্য দিয়ে নতুন রূপ পেতে যাচ্ছে বিমানবন্দরটি। যার অংশ হিসেবে ইতোমধ্যেই বিমানবন্দর পরিদর্শন করেছেন বেসামরিক বিমান প্রতিমন্ত্রী। তবে রানওয়ে সম্প্রসারসহ অন্যান্য সুবিধা নিশ্চিত করে রাজশাহীতে কার্গো থেকে শুরু করে সব ধরনের বিমান ওঠানামা ও পাশ্ববর্তী দেশগুলোর সাথে সরাসরি আকাশপথে যোগাযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা হবে এমনটাই প্রত্যাশা রাজশাহীর মানুষের।
যাত্রা শুরুর পর থেকে গত ৩৫ বছরে কোন সম্প্রসারন কাজ হয়নি রাজশাহীর শাহ মখদুম বিমানবন্দরের। বর্তমানে বিমানবন্দটি আন্তর্জাতিক মানের করে তুলতে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রনালয়ে চিঠি দেন সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। আর এতে সাড়ে দিয়েছে মন্ত্রণালয়।
মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, রাজশাহী থেকে পাশের দেশ ভরতের যে পরিমান লোকজন যাওয়া আসা করে তাকে সপ্তাহে সাতদিন একটি উড়োজাহাজ এখান থেকে চলতে পারে। আশা করছি আগামীতে রাজশাহী-কলকাতা রুটে একটি উড়োজাহাজ চলাচল করবে।
সম্প্রতি বিমানবন্দরটি পরিদর্শনে আসেন প্রতিমন্ত্রীসহ বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রনালয়ের উর্দ্ধতনা কর্তারা। এসময় বিমানবন্দরের গ্রউন্ড ফ্লোর সাত হাজার ৫০০ থেকে ১৭ হাজার বর্গফুট এবং রানওয়ে দৈঘ্যে ১০ হাজার ও প্রস্থে ১৫০ ফুট উন্নিতকরণ করা হবে বলে জানান বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী।
তিনি বলেন, রাজশাহীসহ ধারাবাহিকভাবে দেশের সব বিমানবন্দগুলো আধুনিকায়নের করতে চায় সরকার। ইতোমধ্যেই রাজশাহী বিমানবন্দর আধুনিক ও সম্প্রসারণ করার জন্য প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ৮৪ কোটি টাকা ব্যয়ে টার্মিনাল ভবন ও ২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে যাত্রীদের জন্য বোর্ডি ব্রীজ নির্মাণ।
২০০৭ সালে লোকসানের কারনে বন্ধ রাখা হয় এই বিমানবন্দরটি। দীর্ঘ ৯ বছর পর ২০১৫ সালে সরকার বিমানবন্দরটি আবারো চালু করে। বর্তমানে সপ্তাহে সাত দিন তিনটি এয়ারলাইন্সের মোট ২৬টি ফ্লাইট পরিচালনা করা হচ্ছে এখান থেকে। ১৯৮৪ সালে ছয় হাজার ফুট দৈঘ্য ও ৯২ ফুট প্রস্থর রানওয়ে নিয়ে যাত্রা শুরু করে রাজশাহীর শাহ মখদুম বিমানবন্দর।