সারাদেশে গ্রামের রাস্তায় জ্বলবে সৌরবিদ্যুতের ‘সড়কবাতি’
পদ্মাটাইমস ডেস্ক : গ্রামীণ অঞ্চলে নগর সুবিধা পৌঁছে দিতে সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার করে সারাদেশের গ্রামের রাস্তায় ‘সড়কবাতি’ (স্ট্রিট লাইট) স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এটি ছিল ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারের অঙ্গীকার। প্রাথমিকভাবে সরকার সারাদেশে ১৭টি উপজেলার ১৩৩টি ইউনিয়নে ৬ হাজার ১৩০ সড়কবাতি স্থাপন করবে। পর্যায়ক্রমে বাকি গ্রামগুলোতে এ ধরনের লাইট স্থাপন করা হবে।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, এজন্য সরকার ৪৭ কোটি ৬১ লাখ টাকার ‘আলোকিত স্ট্রিট লাইট’ নামে একটি পাইলট প্রকল্প হাতে নিয়েছে। পল্লি দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। প্রকল্পটি ২০২২ সালের জুনের মধ্যে শেষ হবে। প্রকল্পটির লক্ষ্য গ্রামীণ অঞ্চলের সব রাস্তায় সড়কবাতি স্থাপন করা। পর্যায়ক্রমে সারাদেশে এ ধরনের লাইট বসানো হবে।
উপজেলাগুলো হলো- রংপুরের পীরগঞ্জ, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া, শরীয়তপুরের বেদোরগঞ্জ, নরসিংদীর শিবপুর ও রায়পুর, যশোরের মণিরামপুর, শ্রীপুর ও মাগুরা সদর, সাতক্ষীরার তালা, জামালপুরের মেলান্দহ, নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ, কুমিলস্নার লালমাই ও মনমোহনগঞ্জ, নাটোরের সিংড়া, বরিশালের আগৈলঝাড়া ও গৌরনদী এবং সুনামগঞ্জ জেলার দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলায় এসব সড়কবাতি স্থাপন করা হবে।
সরকারের জ্বালানিনীতি অনুসারে, ২০২০ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎস থেকে দশ শতাংশ বিদ্যুৎ আসবে। এজন্য গ্রামীণ জনগণের মধ্যে নগর সুবিধা দেওয়ার জন্য সরকার পরীক্ষামূলকভাবে এ প্রকল্প গ্রহণ করেছে। পরিকল্পনা কমিশনের প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি উপজেলা সদর ও পৌরসভা অঞ্চল বাদে গ্রামাঞ্চলে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের পরামর্শ দিয়েছে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, গ্রামের মানুষ সড়কবাতির সুবিধা থেকে বঞ্চিত। সন্ধ্যা হলেই গ্রামগুলোতে ভুতুড়ে পরিবেশ তৈরি হয়। রাস্তায় আতঙ্কে মানুষ চলাফেরা করতে পারে না। সৌরবাতি বসানো হলে রাতের আঁধারে মানুষ নিরাপদে চলাচল করতে পারবেন। এতে গ্রামের মানুষের জীবনেও শহরের ছোঁয়া লাগবে। যা ছিল সরকারে নির্বাচনী অঙ্গীকার।
আওয়ামী লীগের ২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে ২১টি বিশেষ অঙ্গীকার রয়েছে। এর মধ্যে ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ অঙ্গীকারের আওতায় দেশের প্রতিটি গ্রামে আধুনিক নগর সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার রূপরেখা অন্যতম। নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী, আধুনিক গ্রাম বলতে উন্নত রাস্তাঘাট, যোগাযোগ, সুপেয় পানি, আধুনিক স্বাস্থ্য সেবা ও সুচিকিৎসা, মানসম্পন্ন শিক্ষা, উন্নত পয়ঃনিষ্কাশন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ বৃদ্ধি, কম্পিউটার ও দ্রুতগতিসম্পন্ন ইন্টারনেট সুবিধা অন্যতম।