সোলেইমানিকে হত্যার কারণ জানালেন ট্রাম্প

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১১, ২০২০; সময়: ৪:৩৫ অপরাহ্ণ |
সোলেইমানিকে হত্যার কারণ জানালেন ট্রাম্প

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় ইরানের কুদস ফোর্সের প্রধান মেজর জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে হত্যার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোলেইমানিকে হত্যার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি এইটুকু বলতে পারি যে আমাদের চারটি দূতাবাস উড়িয়ে দিতে চেয়েছিল।’

গত বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে পরিবেশবিষয়ক এক অনুষ্ঠানে এমন তথ্য প্রকাশ করেন ট্রাম্প। তিনি জানান, ইরানের ইশারাতেই বাগদাদে মার্কিন দূতাবাসে বিক্ষোভকারীরা হামলা চালিয়েছিল। আর আপনারা জানেন যে, কে এটা আয়োজন করেছিল। সেই ব্যক্তি এখন আর কোথাও নেই। আর তার পরিকল্পনায় আরও কয়েকটি নির্দিষ্ট দূতাবাসের কথা মাথায় ছিল।’

ওহাইয়োতে এক সভায় ট্রাম্প সাফ জানিয়ে দেন, ‘সোলেইমানি সক্রিয়ভাবে নতুন হামলার পরিকল্পনা করছিলেন,আর শুধু বাগদাদের দূতাবাসই নয় বরং তিনি আমাদের অন্য দূতাবাসগুলোকেও গুরুত্বের দিচ্ছিলেন।’

এদিকে ডেমোক্রেটরা অভিযোগ করেছে যে, হোয়াইট হাউস এ বিষয়ে আগে থেকে আইনপ্রণেতাদের যথাযথ প্রজ্ঞাপন দেয়নি। এছাড়া ড্রোন হামলা সম্পর্কে ডেমোক্রেটদের দেওয়া গোয়েন্দা তথ্যে দূতাবাসে হামলার পরিকল্পনার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

তবে ট্রাম্প বৃহস্পতিবার দূতাবাসে হামলার পরিকল্পনার অভিযোগ প্রথমে হোয়াইট হাউসে আনেন। পরে তিনি সেদিন রাতে ওহাইয়োতে একটি র‍্যালিতে গিয়ে আবারও একই অভিযোগ করেন।

তার এই অভিযোগে একমত প্রকাশ করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও । তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে আসন্ন হামলার হুমকির সুনির্দিষ্ট তথ্য ছিল এবং এই হুমকির মধ্যে মার্কিন দূতাবাসগুলোও ছিল।’

অন্যদিকে, হাউস সশস্ত্র সার্ভিস কমিটির চেয়ারম্যান অ্যাডাম স্মিথ বুধবার হোয়াইট হাউসে আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘ভবিষ্যতে মার্কিন দূতাবাসে ইরানের হামলার পরিকল্পনার কোনো প্রমাণ নেই। আমি সব পর্যায়ের সবার সাথে কথা বলেছি,এমনকি আমি হোয়াইট হাউসেরও অনেকের সঙ্গে কথা বলেছি,তারা কেউই এমন কিছু বলেনি।’

হাতে যে গোয়েন্দা তথ্য ছিল তাতে কোনো নির্দিষ্ট টার্গেটের কথা উল্লেখ করা হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্টের কাছে যদি নির্দিষ্ট টার্গেটের প্রমাণ থাকে, তাহলে সেটি আমাদের জানানো হয়নি।’

উল্লেখ্য, গত ৩ জানুয়ারি ভোরে ইরাকের রাজধানী বাগদাদের বিমানবন্দরের কাছে ড্রোন হামলায় কাসেম সোলেইমানিকে হত্যা করে যুক্তরাষ্ট্র। ওই হামলায় একইসঙ্গে নিহত হন ইরাকের শিয়া মিলিশিয়া গ্রুপের নেতাসহ আরও ৯ জন। সোলেইমানিকে হত্যার জন্য সরাসরি নির্দেশ দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে