সিন্ডিকেটে জিম্মি ধানের বাজার, ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন প্রকৃত কৃষক
পদ্মাটাইমস ডেস্ক : দুর্ভোগ আর আর্থিক ক্ষতি পিছু ছাড়ছে না দিনাজপুর অঞ্চলের কৃষকের। শীতের কষ্টের আড়ালে কৃষকের আহাজারি ঢাকা পড়েছে। মাঠের বাম্পার ফলন হাসি ফোটালেও হাটবাজারে ধান নিয়ে যাওয়ার পর মলিন মুখে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে তাদের। সরকারের ক্রয় অভিযানের কোন প্রতিফলন নেই বাজারে। খাদ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, মিলারদের সিন্ডিকেটই ধানের বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে।
ঘোষণার পর সরকার সরাসরি কৃষকদের কাছ ধান কেনা শুরু করলেও হাটবাজারে তেমন প্রভাব পড়েনি। গত ২০ নভেম্বর ক্রয় অভিযান শুরু হলেও এখন পর্যন্ত ধান সংগ্রহ হয়েছে মাত্র ১০ হাজার মেট্রিক টন। চাল ক্রয় করেছে ৯শ মেট্রিক টন। খাদ্য বিভাগের ধীর গতির কারণে হাটে বাজারে কম দামে ধান বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন কৃষক। প্রতি কেজি ২৬ টাকা সরকারি দাম হলেও বাজারে মাত্র ১৫ থেকে ১৬ টাকা। প্রতি বস্তায় লোকসান গুণতে হচ্ছে ৩শ থেকে সাড়ে ৩’শ টাকা।
এদিকে প্রকৃত কৃষকদের নাম তালিকাভুক্ত না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কৃষকরা। ধান চাল ক্রয়ের সরকারি নীতিমালা পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছেন কৃষক নেতা আলতাফ হোসেইন। তিনি বলেন, সরকারকে গ্রামের বড় বড় হাটে সরকারি ক্রয় কেন্দ্র খুলতে হবে। এবং কোন দালালের মাধ্যমে নয়, সরকারি লোকজন দিয়ে প্রকৃত কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ধান কিনতে হবে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, চালকল মালিকরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ধানের দাম বাড়াতে দিচ্ছে না।
বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সদস্য অধ্যক্ষ হাবিবুল ইসলাম বাবুল বলেন, অটো রাইস মিলগুলো বর্তমানে ধান ক্রয় বন্ধ রেখেছে। তাদের সৃষ্ট দালাল-ফরিয়াদের মাধ্যমে খুবই অপর্যাপ্ত দামে ধান কিনছে। গম মৌসুমের মতো এবারও কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
এবার কৃষক পর্যায়ে জেলায় ১৩ উপজেলায় ২৮ হাজার মেট্রিক টন ধান আর মিলারদের কাছ থেকে কিনবে ৩৩ হাজার মেট্রিক টন চাল।